পুরাণ বিকৃত করে দেবী সরস্বতীকে নিয়ে কুরুচিকর পোস্ট করা হয়েছিল ফেসবুকে। অবিলম্বে সেই পোস্ট মুছে দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। একইসঙ্গে রাজ্য পুলিশকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যে ব্যক্তি ওই পোস্ট করেছেন তাঁকে অবিলম্বে খুঁজে বের করতে হবে।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েক সপ্তাহ আগে। ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরতে থাকে এক ব্যক্তির করা একটি কুরুচিকর পোস্ট। পুরাণের বিকৃতি ঘটিয়ে করা সেই পোস্টে স্কুলে সরস্বতী পুজোর বিরোধিতা করার নামে সরস্বতীর চরিত্র হননের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। যা হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলেও দাবি অনেকের।
অনেকে পোস্টটি নিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানালেও তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। এর পর পোস্টটি সরানোর দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মধুরিমা সেনগুপ্ত নামে এক মহিলা। দাবি, আপত্তিকর বা হিংসা ছড়াতে এমন কোনও পোস্ট করা হলে, ফেসবুক নিজে থেকেই তা সরিয়ে দেয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। কেন? সেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার পোস্ট মুছে পোস্টদাতাকে খোঁজার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মামলাটি শুনানি হয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। দেবী সরস্বতীর নামে পোস্টটি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। ফেসবুকে পক্ষে আইজীবী মুকুল রোহতগী আদালতকে জানান, বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করছেন। ফলে কোনও একটি নির্দিষ্ট ভাষায় পোস্ট খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। ভিডিও হলে সমস্যা হত না। যদি পোস্টটির লিঙ্ক বা ইউআরএল দেওয়া হয়, তবে পদক্ষেপ করা যেতে পারে’।
এই নিয়ে রাজ্যের কি অবস্থান? হাই কোর্টে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, এই মন্তব্যকে রাজ্য সরকার সমর্থন করে না। যে এই মন্তব্য করেছে তাঁকে খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে পুলিশ।