দেশে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের গ্রাফ সামান্য ঊর্ধ্বমুখী। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত দেশের ৩৬,৬৫২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫১২ জনের। শুক্রবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এর চেয়ে কম। আর শনিবার কমল দৈনিক সুস্থতার হারও।
সপ্তাহান্তে ফের দেশের করোনা সংক্রমণের চিত্র খানিকটা বাড়িয়ে তুলল উদ্বেগ। বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, কমল সুস্থতা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪২,৫৩৩ জন, যে সংখ্যাটা শুক্রবার ছিল ৪২,৯১৬। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হলেন ৯০ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮২২জন। করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ লক্ষ ৮,২১১। তবে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৯ হাজার ৬৮৯। এদিকে, করোনায় দৈনিক মৃত্যু সামান্য কমল। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫১২ জন, শুক্রবার তা ছিল ৫৪০।
শীতের মরশুমে দেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা আসতে পারে বলে আগে থেকেই সতর্ক করেছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সেইমতো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে, হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নতি করে, দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা – এসব সীমিত পরিকাঠামো নিয়েই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জারি রেখেছে ভারত। অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানকার অবস্থা খানিকটা ভাল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে, ভ্যাকসিন তৈরির তোড়জোড়ও চলছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে ইতিমধ্যে দেশের ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণাগার পরিদর্শন করেছেন। সর্বদল বৈঠক করে প্রতিষেধক বণ্টন নিয়ে আলোচনাও সেরেছেন। অনেকেই আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী বছরের গোড়ার দিকেই হাতে এসে যাবে করোনার প্রতিষেধক। চিকিৎসকদের পরামর্শ, তার আগে পর্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার মধ্যে দিয়ে প্রতিহত করতে হবে মারণ জীবাণুকে।