লকডাউন এবং কড়া বিধিনিষেধে মিলেছে সুফল। ধীরে ধীরে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে উঠতে পেরেছে দেশ। কিন্তু এখনও বিপদ কাটেনি। করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আতঙ্কের মাঝেই আবার চোখ রাঙাচ্ছে ভাইরাসের (COVID-19) একাধিক স্ট্রেন। ফলে টিকাকরণকে হাতিয়ার করেই করোনা মোকাবিলা করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের প্রায় অর্ধেক সংখ্যক জনতাকেই ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি সুস্থতার ঊর্ধ্বমুখী হার এবং কমতে থাকা অ্যাকটিভ কেস আশার আলো দেখাচ্ছে।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৭ হাজার ৮৭৫ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের তুলনায় খানিকটা বেশি। তবে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রাখছে কেরলের পরিস্থিতি। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭১৮। একদিনে মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬৯ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা বলি ৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৪১১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ সামান্য বাড়লেও নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯১ হাজার ২৫৬ জন। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ২২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ১১৪ জন।
টিকাকরণের গতি বাড়িয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়াস জারি রয়েছে দেশজুড়ে। দেশে এখনও পর্যন্ত দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। ৭০ কোটি ৭৫ লক্ষেরও বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে গতকালই টিকা পেয়েছেন প্রায় সাড়ে ৭৮ লক্ষ নাগরিক। তবে টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে অব্যাহত টেস্টিং প্রক্রিয়াও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৫ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৪৫ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।