ক্রমেই ভারতে থাবা বসাচ্ছে করোনা ভাইরাস। এদেশে শুক্রবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১। তবে পাঞ্জাবে দুজনের এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর নিশ্চিত হওয়ায় এবার বেড়ে তা ৩৪।
ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সেব্যাপারে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যগুলির আলোচনা চলছে। বিদেশি নাগরিককে এ দেশে ঢুকতে হলে মেডিক্যাল স্ক্রিনিং-এর মধ্যে দিয়ে যেতেই হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
ভারতের বিভিন্ন শহরে করোনার চিকিৎসার জন্য অনেকগুলি সেন্টার খোলা হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালেও আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্য়বস্থা করা হয়েছে। যেহেতু করোনা ভাইরাসটি মূল বিদেশ থেকেই এদেশে ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই এখনই করোনা আক্রান্ত দেশগুলিতে না গেলে বা সেখান থেকে নতুন করে কেউ দেশে না এলে ভারতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। তবে সবসময়ই সাবধানতা অবলম্বন করে চলার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ইরান, ইরাক, ইতালি, আমেরিকাতেও থাবা বসিয়েছে করোনা। বিভিন্ন দেশ থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর এসেছে। তবে এদেশে এই ভাইরাসের আক্রান্তের খবর সামনে আসাতে কপালে ভাজ পরেছে স্বাস্থ্য কর্তা থেকে শুরু করে আমজনতার।
জানা গিয়েছে ওই দুই ব্যক্তি ৩ মার্চ ইতালি থেকে অমৃতসর ফিরেছিলেন ওই দুই আক্রান্ত ব্যক্তি। সেখানে বিমানবন্দরে ওই দুই ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানেই ধরা পরে তারা ওই ভাইরাস আক্রান্ত। ওই দুই ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে আইসলেশনে রাখা হয়েছে।
ইতিমধ্যে সমগ্র বিশ্বে লাফিয়ে বাড়ছে এই ভাইরাসে আক্রমনের সংখ্যা। তবে ভারতে এই ভাইরাসের আক্রমণের হার বাড়াতে স্বাভাবিক ভাবে চিন্তিত সকলে।