দেশের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল অবস্থা দেশের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসের কবলে পড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হল ২৫৭ জন করোনা রোগীর। সুস্থতার হারও নিম্নমুখী।মৃত্যুর পরিসংখ্যান আচমকাই বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ১১৮ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৫৭ জনের। একদিনে কোভিড মুক্ত হয়েছেন মাত্র ৩২ হাজার ৯৮৭ জন রোগী। এই মুহুর্তে দেশের করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪৬ হাজার ৬৫২। চিকিৎসাধীন আছেন ৪ লাখ ২১ হাজার ৬৬ জন। দেশে কোভিডের বলি হয়েছেন মোট ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৪৯ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনার টিকা নিয়েছেন ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৪ হাজার ৪৪০ জন।
মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে ইতিমধ্যেই সে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় কোথাও সম্পূর্ণ আবার কোথাওবা আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় এবার আরও কড়া অবস্থান নিতে চলেছে মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি তামিলনাড়ু, কর্নাটক, কেরলেও সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। রাজধানী দিল্লিতেও একই অবস্থা।
গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে ১ হাজার ৫১৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।দিল্লিতে ইতিমধ্যেই করোনা প্রাণ কেড়েছে ১০ হাজার ৯৭৮ জনের। ২৫ মার্চ পর্যন্ত দিল্লিতে করোনায় মৃত্যুর হার ১.৬৮ শতাংশ। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬ লক্ষ ৫২ হাজার ৭৪২। রাজধানীতে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ৫ হাজার ৪৯৭। সংক্রমণে লাগাম টানতে দিল্লি জুড়ে করোনা টেস্টে জোর দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানীতে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে ইতিমধ্যেই এবার হোলি নিষিদ্ধ করেছে দিল্লির সরকার। যে হারে রাজধানীতে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে তাতে ফের বড় কোনও বিপর্যয় যাতে না আসতে পারে তারজন্য এবছর প্রকাশ্যে রঙ খেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।