দেশের দৈনিক করোনা পরিসংখ্যানে ফের স্বস্তি। শুক্রবার বেশ খানিকটা কমল অ্যাকটিভ কেস। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা আগের দিনের কাছাকাছি থাকলেও বেড়েছে করোনাজয়ীর সংখ্যা। যার ফলে খানিকটা বেড়েছে সুস্থতার হারও। এই মুহূর্তে দেশের সুস্থতার হার ৯৭.৫৪ শতাংশ।
তবে, এসবের মধ্যে খানিকটা চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার ডেল্টা স্ট্রেন। গতকালই এক সমীক্ষায় প্রকাশ করা হয়েছে, করোনার দুটি টিকা নেওয়া থাকলেও অনায়াসে সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম এই ভয়াবহ স্ট্রেনটি। শুধু তাই নয়, দেশে নিয়মিত দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও বাড়ছে। বাড়ছে R-Value। যা স্পষ্টতই তৃতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৬ হাজার ৫৭১ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের থেকে সামান্য হলেও বেশি। ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৩ লক্ষের কাছাকাছি। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৮৯ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৪০ জনের। এই সংখ্যাটাও আগের দিনের থেকে বেশি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৫৫৫ জন। এই সংখ্যাটা দৈনিক আক্রান্তের থেকে সামান্য বেশি। ফলে খানিকটা কমেছে অ্যাকটিভ কেস। আপাতত চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬০৫ জন। এই সংখ্যাটা দেড়শো দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ কোটি ১৫ লক্ষ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ। ইতিমধ্যেই দেশে করোনা টিকা পেয়েছেন ৫৭ কোটি ২২ লক্ষ মানুষ।