ভারতে টিকা প্রাপ্ত মোট সংখ্যার মধ্যে মাত্র ০.০৮ শতাংশ মানুষের,অর্থাৎ মাত্র এক হাজার মানুষের শরীরে দেখা গিয়েছে ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। মাত্র ০.০০২ শতাংশ মানুষকে টিকা নেওয়ার পর আবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়া এখনও অব্যহত।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের এগিয়ে এসে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করা উচিত, ভ্যাকসিন সম্পর্কে নানান গুজব এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, দেশে যে দুটি ভ্যাকসিন অনুমোদিত হয়েছে তা একেবারেই ঠিক আছে।
উল্লেখ্য, ভ্যাকসিন নেওয়ার কিছু পরে দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। তবে এই মৃত্যুর সঙ্গে টিকাকরণের কোনও যোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। পোস্ট মর্টেমে এই বিষয় নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত চার দিনে করোনা টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ৬ লক্ষ সংখ্যা অতিক্রম করে গিয়েছে। একদিনে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভারত এখন আমেরিকার চেয়েও এগিয়ে গিয়েছে। এই গতি আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, কোন সেশনে কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তা পুরোপুরি রাজ্য সরকারের উপর নির্ভরশীল। এখনও অবধি উত্তর প্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্য রয়েছে যেখানে দ্রুত গতিতে বাড়ানো হচ্ছে টিকাকরণের কাজ।
দুটি ভ্যাকসিন একদিকে যেমন অনুমোদিত হয়েছে, তেমনই আরও চারটি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে। অন্যদিকে যদি দেখা যায়, তবে দেখা যাবে দিনে দিনে ভারতে প্রভাব কমছে করোনার। প্রায় আট মাস পর, দেশের একদিনের করোনায় মৃতের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪০ এর নীচে। যা নিঃসন্দেহে সুখের খবর।