শুরুটা হয়েছিল ২০১৩-১৪র কাছাকাছি। জর্জ সোরেস, বিল গেটস, ডঃ ফৌচি এ ছাড়াও ফাইজার, গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লাইন- এদের মিলিত বিনিয়োগের টাকায় করোনা জীবাণু উহান ল্যাবে তৈরি করে তার প্রতিষেধক বেচে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক ও কূটনৈতিক ক্ষমতা হস্তান্তরের স্বপ্ন দেখেছিল এইসব ধন কুবের শিল্পপতিরা। এখানে ভারতের কথা বলতেই হবে, ভারতের মতন এত বড় বাজার বিশ্বের আর কোনো দেশে নেই। কিন্তু ভারতের বাজার দখল করতে ভারতেরই কিছু এজেন্ট লাগবে। এক্ষেত্রে ভারতে বিদেশের মূল দালাল ও কিছু রাজনৈতিক নেতাদেরকে হাত করে এজেন্ট হিসেবে (প্রতিদিন যে রাজ্যগুলির ভয়ংকর অবস্থা জানতে পারছেন) ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা সেই কাজটা করবে ভেবেছিল। ঠিক যেটা ফাইজার ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে করতে চলেছে। কিন্তু অন্তরায় হয়ে দাঁড়ালো একটি মানুষ, তিনি ভারতের ল্যাবরেটরিতেই বানালেন কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড এর মতন দুটি প্রতিষেধক। এবং ফাইজারের মতন বাকি ভ্যাকসিন তৈরি করা কোম্পানীগুলির কার্যত ভারতে ব্যবসা করার স্বপ্নে জল ঢেলে দিলেন। আগামী দিনে ভারত বায়োটেক দ্বারা প্রস্তুত করা আরো দুটি প্রতিষেধক আসতে চলেছে (এরকমটাই খবর)।
কিন্তু, এই সব হোয়াইট কলার মাল্টি বিলিয়নারদের তাতে তো রাগ হবেই, রাগ হওয়া স্বাভাবিক। রাগ হবে বলেই পঃ বঙ্গ নির্বাচনে কার্যত তার চিন্হ মুছে ফেলতে হল, (তাতে কাদের কাদের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল সেটা সকলের কাছেই নির্বাচনের ফল দেখার পর পরিষ্কার)। কারন ২০২৪ শের নির্বাচনে হয়ত বা এখান থেকেই শুরু হবে আসল কাজটা। এক যদি না তার মধ্যে বিরাট এক পট পরিবর্তন হয়! আগামী উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনেও একই স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হবে।
যেটা লিখছিলাম, রাগ হবে বলেই ভারতের সবচেয়ে বড় সমর্থক ও বন্ধু দেশ ইসরাইলের ওপর অতর্কিতে হামলা। রাগ হবে বলেই বাংলাদেশ কে চীনের হুঁশিয়ারি। আর এভাবে ভারত চলতে থাকলে এই হোয়াইট কলার শিল্পপতিদের স্বপ্ন বিশ্বকে তাদের হাতের মুঠোয় নেওয়ার অবসান হবে। আর সেটা যাতে না হয় তাই, আসন্ন ২০২৪ এর নির্বাচনেও একই পন্থা নেওয়া হবে। কারন, এইসব ধন কুবেরদের ব্যবসার নামে ভারতের সামরিক,কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অন্তরায় সেই মানুষটিকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই হবে, সেটা যে কোনো মূল্যেই করতে হবে। সেখানে বেশ কিছু সাধারণ মানুষের প্রাণ কল্যাটরাল ড্যামেজ হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। বরং আগের থেকে আরও ভয়ানক, আরো ভয়ঙ্কর হতে পারে সেই পন্থা।
Dyutiman Biswas