দেশে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ হয় নি বলেই দাবি করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (Indian Council of Medical Research) (আইসিএমআর)। বৃহস্পতিবার আইসিএমআরের তরফে বলা হয়েছে, ‘ভারত গোষ্ঠী সংক্রমণ
পর্যায়ে নেই। আমাদের নমুনা পরীক্ষা এবং সংস্পর্শে আসা লোকদের খুঁজে যেতে পারে এমন
উপযুক্ত নজরদারি বজায় রাখতে হবে, কনটেনমেন্ট কৌশল রূপায়ণ করতে হবে। কোনওভাবেই রাশ
আলগা করা যাবে না।’
ভারতে দিনে দিনে যেন আরও নিজের রাজত্ব বিস্তার করছে করোনা ভাইরাস, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ওই রোগে আক্রান্ত হলেন ৯,৯৯৬ জন, মৃত্যু হল ৩৫৭ জনের। এর ফলে সব মিলিয়ে প্রায় ২,৮ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত কোভিড- ১৯ এ। সারা ভারতে ৮,০০০ এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ওই রোগে। গত কয়েকদিন গড়ে নয়-দশ হাজার ছুঁয়েছে দিনপিছু সংক্রমণ । স্বভাবতই দেশে গোষ্ঠী
সংক্রমণ শুরু হয়েছে কিনা, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে জল্পনা চলছিল। তাও গোষ্ঠী সংক্রমণ পর্বে নেই ভারত । বৃহস্পতিবার এমন দাবি করল কেন্দ্র। ২৪ ঘণ্টার বিচারে সবচেয়ে বেশী সংক্রমণ দেখেছে দিল্লি-মুম্বই। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যানে তেমনটাই উল্লেখ। পাশাপাশি কেন্দ্রের দাবি, দেশব্যাপী ধাপে ধাপে চলা লকডাউন কার্যকরী করায় কমানো গিয়েছে সংক্রমণের গতি। দেশের ৮৩টি জেলায় সংক্রমণের হার মোট জনসংখ্যার এক শতাংশেরও কম। আইসিএমআর-এর ডিজি বলরাম ভার্গব বলেছেন, “গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ে একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু হু এখনও সেটা নিশ্চিত করেনি। আমাদের দেশে জনপথ পিছু সংক্রমণ খুব কম। ১%-এর নীচে। শহরাঞ্চলে একটু বেশি। আর কন্টেইনমেন্ট এলাকায় আর একটু বেশি। কিন্তু আমরা গোষ্ঠী সংক্রমণের মধ্যে নেই। গোষ্ঠী সংক্রমণ বা স্টেজ-থ্রি সংক্রমণ, তখন ধরা হবে যখন, বাহকের খোঁজ মিলবে না।
তাঁর দাবি, “মাত্র ০.৭৩% ক্ষেত্রে বাহকের অস্তিত্ব মেলেনি। ভারতের মতো জনবহুল দেশে এটা অত্যন্ত নগণ্য। তাই আমরা বলতেই পারি দ্রুত সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন কার্যকরী। অর্থাৎ দশের অধিকাংশ মানুষ সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম। স্থানীয় স্তরে লকডাউন লাগু করে কন্টেইনমেন্ট জোনে নজরদারি চললে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।” তবে, দিল্লি ও মুম্বইতে যে হারে সংক্রমণ চলছে, সেখানে গোষ্ঠী সংক্রমণের সন্দেহ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। যদিও নিশ্চিত কিছু করা যায়নি।