ভারতে (India) দ্রুত গতিতে বেড়েই চলেছে কোভিড-১৯ (Covid-19) ভাইরাসের সংক্রমণ, মৃত্যুর সংখ্যাও হু হু করে বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নতুন নতুন রেকর্ড গড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ (Covid-19) ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২,৫৪৯ এবং সংক্রমিত ৭৮,০০৩ জন। ইতিমধ্যেই ভারতে করোনাকে পরাজিত করে সুস্থ হয়েছেন ২৬,২৩৫ জন। বিগত ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৭২২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩৪ জনের। বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮,০০৩ জন (সক্রিয় করোনা রোগী ৪৯,২১৯)। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২,৫৪৯। এর মধ্যেই চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৬,২৩৫ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, ২,৫৪৯ জনের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, অসমে দু’জনের, বিহারে ৭ জনের, চন্ডীগড়ে ৩ জন, দিল্লিতে ১০৬ জনের, গুজরাটে ৫৬৬ জনের, হরিয়ানায় ১১ জনের, হিমাচল প্রদেশে ২ জনের, জম্মু-কাশ্মীরে ১১ জনের, ঝাড়খণ্ডে ৩ জনের, কর্ণাটকে ৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন, কেরলে ৪ জন, মধ্যপ্রদেশে ২৩২ জন, মহারাষ্ট্রে ৯৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, মেঘালয়ে একজন, ওডিশায় ৩ জনের, পুদুচেরি একজন, পঞ্জাবে ৩২ জন, রাজস্থানে ১২১ জনের, তামিলনাড়ুতে ৬৪ জন, তেলেঙ্গানায় ৩৪ জন, উত্তরাখণ্ডে একজন, উত্তর প্রদেশে ৮৩ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ২০৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
করোনা-প্রকোপে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি এখন সবচেয়ে খারাপ। মহারাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ২৫,৯২২, দিল্লিতে ৭৯৯৮, তামিলনাড়ুতে ৯২২৭, অন্ধ্রপ্রদেশে ২১৩৭ জন, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৩৩ জন ( প্রত্যেকেই সুস্থ) অরুণাচল প্রদেশে একজন, অসমে ৮০ জন, বিহারে ৯৪০ জন, চন্ডীগড়ে ১৮৭ জন, ছত্তিশগড়ে ৫৯ জন, দাদর নগর হাভেলিতে একজন, গোয়ায় ৭ জন (প্রত্যেককেই সুস্থ), গুজরাটে ৯২৬৭ জন, হরিয়ানায় ৭৯৩ জন, হিমাচল প্রদেশে ৬৬ জন, জম্মু-কাশ্মীরে ৯৭১ জন, ঝাড়খণ্ডে ১৭৩ জন, কেরলে ৫৩৪, কর্ণাটকে সংক্রমিত ৯৫৯ জন, লাদাখে ৪৩ জন, মধ্যপ্রদেশে ৪১৭৩ জন, মণিপুরে দু’জন (উইয়েই সুস্থ), মেঘালয় ১৩ জন, মিজোরামে একজন, ওডিশায় ৫৩৮ জন, পুদুচেরিতে ১৩ জন, পঞ্জাবে ১৯২৪ জন, রাজস্থানে ৪৩২৮ জন, তেলেঙ্গানায় ১৩৬৭ জন, ত্রিপুরায় ১৫৫ জন, উত্তরাখণ্ডে ৭২ জন, উত্তর প্রদেশে ৩৭২৯ এবং পশ্চিমবঙ্গে ২২৯০ জন।