‘মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করলে বাড়ির সামনে বদলি নয়’, তৃণমূল বিধায়ক নির্মলের ঘোষণায় বিতর্ক

ফের বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল নেতা নির্মল মাজি। স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করলে স্বাস্থ্য দফতরের চাকরিতে ‘বাড়ি যেখানে বদলি সেখানে’ নীতির সুবিধা পাওয়া যাবে না। এই নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, নির্মলবাবু স্বাস্থ্যমন্ত্রী নন, স্বাস্থ্যকর্তাও নন। তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কাদের, কেন, কোথায় বদলি হবে, সেই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘোষণা করার তিনি কে?

মেদিনীপুর শহরে ইন্টিগ্রেটেড আয়ুষ হাসপাতালে হোমিয়োপ্যাথির এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন নির্মল। সেখানে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসক, নার্সিং, প্যারামেডিক্যাল স্টাফ, টেকনিশিয়ান— যাঁর বাড়ি যেখানে, পোস্টিং হোক সেখানে, এই আওয়াজ আমিই তুলেছি। এখন তা বাস্তবায়িত হচ্ছে। কিন্তু (এই সুবিধা) তাঁদের জন্য নিশ্চয়ই নয়, যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করেন, কথায়-কথায় পান থেকে চুন খসলে যাঁরা জিন্দাবাদ-জিন্দাবাদ করে সরকারের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করেন’।
এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘আমাদের নির্দিষ্ট নিয়োগ এবং বদলি নীতি আছে। তার বাইরে কে, কোথায়, কী বললেন সেটা নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’ এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বদলিতে স্বজনপোষণের অভিযোগ বহু দিনের। নির্মলবাবুর মন্তব্যে তা প্রমাণিত হল বলে দাবি বিরোধীদের।

অবশ্য ঘনিষ্ঠ মহলে নির্মল বলছেন, আমি আসলে বলতে চাই, বিরোধী দলের কিছু চিকিৎসক-কর্মী ইচ্ছাকৃত ভাবে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সাবোতাজ করে সরকারের পরিকাঠামোকে খারাপ দেখাতে চাইছেন। তাঁদের যেমন শাস্তি হিসাবে দূরে বদলি করা উচিত, তেমনই তৃণমূলের সমর্থক ডাক্তার কাজ না করে হাসপাতালে শুধু রাজনীতি করলে, তাঁদেরও দূরে বদলি করা দরকার। এই ব্যাখ্যা চিকিৎসক–বিধায়ক দিলে কি হবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.