বলা হয়, আমেরিকা উন্নত দেশ তাই তাদের সড়ক উন্নত এটা ভুল বরং তাদের সড়ক উন্নত বলেই দেশ উন্নত। অর্থাৎ কোনো দেশের সড়ক ব্যাবস্থা সেই দেশের অর্থনীতি মজবুত করতে বড়ো ভূমিকা পালন করে। ভারতের মতো বড়ো দেশের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। এই বিষয়ের উপর তাকিয়ে মোদী সরকার সড়ক পরিবহন উন্নয়নে যে দ্রুততার সাথে কাজ করে দেখিয়েছে তা প্রশংসনীয়।
কোভিড -১৯-র জন্য নির্মাণ ও রসদ খাতে বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও, ভারত ২০২০-২১ সালে প্রতিদিন ৩৬.৫ কিমি গতিতে জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণ করেছে। লক্ষণীয় যে ৩৬.৫ কিমি/দিন সড়ক নির্মাণ করে ভারত বিশ্বের সমস্ত দেশকে সড়ক নির্মাণের গতিতে পেছনে ফেলে দিয়েছে। যদিও নীতিন গড়করি প্রতিদিন ৪০ কিমি সড়ক নির্মাণের টার্গেট নিয়েছেন।
কংগ্রেস আমলে ভারতে প্রতিদিন ১২ কিমি সড়ক নির্মাণ হতো। সেই গতিকে বাড়িয়ে নীতিন গড়করির নেতৃত্বে ভারত ৩৬.৫ কিমি/ দিন পৌঁছে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও জনপথ মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি বলেছেন, ভারতও মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২.৫ কিলোমিটার চার লেনের কংক্রিট রাস্তা এবং ২২ ঘন্টার মধ্যে ২৬ কিমি একক লেন যা বিটুমিনাস দিয়ে তৈরি তা তৈরি করে বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করেছে।
নীতীন গড়কড়ি টুইট করে জানিয়েছেন, “এই প্রকল্পগুলিতে মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ আইআরসি মান এবং এমআরটিএইচ স্পেসিফিকেশন অনুসারে নির্মাণ কাজ চলছে। নির্দেশিকায় আপডেটের পাশাপাশি মানোন্নয়নের বিষয় ও সিস্টেমের উন্নতির জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও নির্দেশনা জারি করার জন্য একটি মান নিয়ন্ত্রণ জোন স্থাপন করা হয়েছে।”
কোভিড পরিস্থিতিতে বিলম্ব হওয়ার কারণে ও বিভিন্ন কড়া বিধিনিষেধের কারণে যে রাজপথ প্রকল্পগুলি আগেই কার্যকর হয়েছিল সেগুলোর অতিদ্রুত কাজ করানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
সম্প্রতি, রাজ্যসভায় একটি লিখিত বিবৃতি জারি করে গড়কড়ি বলেছেন, যে ইতিমধ্যে সম্পাদিত কাজের অনুপাতে অর্থের পরিমাণ, ঠিকাদারদের জন্য সময় বাড়ানো, অনুমোদিত উপ-ঠিকাদারকে সরাসরি অর্থ প্রদান এবং পারফরম্যান্স সুরক্ষা দাখিলে বিলম্বের জন্য জরিমানা ছাড় এবং বিলম্ব হ্রাস এবং আর্থিক পরিস্থিতি স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য ঠিকাদারদের অতিরিক্ত দেওয়া কিছু সুবিধার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।