রাহুল গান্ধীর পরবর্তী পর্বে কংগ্রেস সভাপতি কে হবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে এখনও কোনও নাম জানায়নি এআইসিসি। তবে কংগ্রেসেরই কোনও কোনও মহল থেকে রটিয়ে দেওয়া হয়েছে নবতিপর মোতিলাল ভোরার সঙ্গে মল্লিকার্জুন খাড়গে ও সুশীল কুমার শিন্ডের মতো ৭৫- প্লাস নেতাদের নাম। এমন জল্পনার মাঝে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের নেতা অমরিন্দর সিং টুইট করে সভাপতি পদে তরুণ কাউকে চেয়ে চাপ বাড়ালেন দলে। তিনি লেখেন, “কংগ্রেসে তাজা রক্ত চাই। যাতে তাঁর ক্যারিশ্মায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তো বটেই, তৃণমূল স্তরের কর্মীরাও উদ্বুদ্ধ হবেন।”
এদিন অমরিন্দর সিং টুইটে লেখেন, “রাহুলের ইস্তফা দুর্ভাগ্যজনক। রাহুলের মতোই এমন কেউ তরুণ সভাপতি হোন, তিনি কংগ্রেসকে নতুন দিশা দেখাতে পারে।” কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে তাঁর পরামর্শ, তরুণ মুখই দলের গতি আনতে পারে। দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ ৩৫ বছরের নীচে। তাঁদের মূল স্রোতে ফেরাতে তরুণ মুখের প্রয়োজন বলেই মত প্রকাশ করেছেন ক্যাপ্টেন।
বৃদ্ধ হলেও মোতিলাল ভোরার আনুগত্য ১০ জনপথ রোডের কাছে প্রশ্নাতীত। সুশীল কুমার শিন্ডে এবং মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম উঠে আসছে সভাপতিত্বের দৌড়ে। শিন্ডে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। অপরদিকে, মল্লিকার্জুন খাড়গেও কংগ্রেসের পোড়খাওড়া নেতাদের একজন। দীর্ঘদিন সাংসদ ছিলেন তিনি। ছিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা।
এবারের লোকসভায় কর্নাটকের গুলবার্গ কেন্দ্র থেকে বিজেপির উমেশ জি যাদবের কাছে প্রায় এক লক্ষ ভোটে পরাজিত হন। এমনসব নাম নিয়ে জল্পনার মাঝে ক্যাপ্টেনের টুইট এআইসিসি-কে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। কারণ, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যে একা কুম্ভের মতো দাঁড়িয়ে আছেন অমরিন্দর সিং।