বিতর্কিত এবং আপত্তিকর এক টুইটের কারণে সোস্যাল মিডিয়ায় সমালোচিত হলেন কংগ্রেস মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। মূলত বিবিসি হিন্দি থেকে নেওয়া একটি ব্যঙ্গ চিত্র, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফ্রাইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের তুলনা করতে গিয়ে কমান্ডার অভিনন্দনের পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি অবস্থার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বুথস্তরের নেতাদের সাথে নরেন্দ্র মোদীর আলোচনার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
কার্টুনটিতে অভিনন্দন বর্তমানকে সেবক এবং নরেন্দ্র মোদীকে প্রধান সেবক হিসাবে দেখানো হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজেকে সেবক হিসেবেই তুলে ধরেন। কার্টুনের বিতর্কিত বিষয়টি হল এখানে কমান্ডার অভিনন্দনের সাথে একই ছবিতে পাকিস্তানের পতাকাকে তুলে ধরা হয়েছে। যা নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় আপত্তি জানিয়েছেন সাধারন দেশপ্রেমী ভারতবাসী।
গত বুধবার ভারতীয় বিমান বাহিনীর কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান লাইন অফ কন্ট্রোল অতিক্রম করার পর বিমানটি ভেঙ্গে পড়ে এবং পাকিস্তানি সেনার হাতে বন্দি হন অভিনন্দন। কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে বৃহস্পতিবার মুক্তির কথা ঘোষনা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ট্যুইটারে তিরষ্কার করা হয়েছে এই বলে যে, “এমন একটি সময় যখন দেশ যুদ্ধের মতো মারাত্মক পরিস্থিতির সম্মুখিত তখন রাজনৈতিক নেতারা এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছেন। আপনাদের লজ্জিত হওয়া উচিত” লিখেছেন এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী। আবার কেউ লিখেছেন “বিরোধীরা যখন ইমরান খানের সঙ্গে তখন দেশবাসীর সঙ্গে থাকতে পেরে আমি গর্বিত” আবার সমালোচনার সুরে কেউ লিখেছেন ” সাধারন মানুষের সহনশীলতার একটা সীমা আছে, সস্তা রাজনীতির কারনের জনপ্রতিনিধিদের এমন বোকামি সত্যিই অসহ্য, খুবই দুঃখজনক”
58 ঘন্টা পর ভারতের মাটিতে পা রাখলেন ফ্লাইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে দুদিন বন্দি থাকার পর আজ মুক্তি পেলেন। আন্তর্জাতিক চাপে একপ্রকার বাধ্য হয়ে কমান্ডার অভিনন্দনকে ছাড়তে বাধ্য হয় পাকিস্তান। পাকিস্তানি যুদ্ধ বিমান F-16 ধ্বংস করার পর MIG-21 ভেঙ্গে পড়ে এবং পাইলট কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান পাক অধিকৃত কাশ্মিরে ঢুকে পড়ে
পাক অধিকৃত কাশ্মিরে প্রবেশ করেও নিজের সাহস ও বীরতার পরিচয় দেন অভিনন্দন। প্যারাসুট থেকে নেমে উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেন, “ভারতমাতা কি জয়” এবং “বন্দেমাতরম”। কমান্ডার অভিনন্দন ভেঙ্গে পড়া বিমান থেকে নেমে যখন বুঝলেন পাক অধিকৃত কাশ্মিরে প্রবেশ করেছেন তখন নিজের হাতেই নষ্ট করে ফেলন মূল্যবান কাগজপত্র এবং কিছু মানচিত্র। স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ার পর তাদের সাথে আহত অবস্থাতেই লড়াই করেন। পরে পাকিস্থানি সেনারা যুদ্ধ বন্দি হিসেবে ধরে নিয়ে যায়।
পাকিস্তানি সেনারা অনেক চেষ্টা করেন প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কিন্তু সেনাদের সামনে দৃঢ়তা বজায় রাখেন এবং সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন উওর দিতে। তাদের সামনে নতজানু হননি। 28জানুয়ারী আন্তর্জাতিক চাপের কাছে মাথা নুইয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাজী হন কমান্ডার অভিনন্দনকে নিঃশর্তে ভারতের তুলে দিতে। দীর্ঘশ্বাস ফেললো সারা ভারতবর্ষ। সমগ্রভারতবাসীর মুখে হাসি ফুটলো।
আজ সেই আনন্দের দিন, খুশির দিন। আনন্দে আত্মহারা সমগ্র ভারতবর্ষ ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসার খবরে। আজ গর্বিত বাস্তবের হিরো অভিনন্দন বর্তমানের জন্যে। আমজনতা তাদের উচ্ছাস প্রকাশ করছেন বিভিন্ন ভাবে। কেউ গান গেয়ে, কেউ নেচে তো কেউ আতসবাজী জ্বালিয়ে বরন করছেন। সোস্যাল মিডিয়ার মানুষ আবেগ প্রকাশ করছেন তাদের বীর সেনা কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের জন্যে। বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছাস সারা দেশ জুড়ে।