কংগ্রেস পার্টি তাদের ঘোষণাপত্র জারি করেছে। এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাহুল গান্ধী তার পার্টির ঘোষণাপত্রের কিছু মুখ্যবিন্দু পড়ে শুনিয়েছেন। তবে কংগ্রেস পার্টির ঘোষণাপত্র শোনার পর সবার মনে একটা প্রশ্ন জেগেছে। প্রশ্ন এই যে, ঘোষণাপত্রটি কে বানিয়েছে কংগ্রেস পার্টি নাকি পাকিস্থানের আতঙ্কবাদীরা। কারণ ঘোষণাপত্রে সরকার তৈরী হওয়ার পর কংগ্রেস যা কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরাসরি ভারতবিরোধী। কংগ্রেসের ঘোষণাপত্রের কিছু মূল বিন্দুর দিকে লক্ষ করুন-
১) দেশদ্রোহী আইনকে মুছে দেওয়া-
এখন প্রশ্ন আসছে যে এই আইন বাতিল করে কংগ্রেস কাদের সুবিধা করে দিতে চাইছে। ভারত তেরে টুকরে হঙ্গে ইনশাল্লাহ গ্যাং, JNU এর দেশদ্রোহী,AMU এর দেশদ্রোহী সকলকে কি সুবিধা করে দেওয়ার চেষ্টা করছে কংগ্রেস পার্টি।
২) কাশ্মীরে সেনার বিশেষ অধিকার AFSP আইনকে বিলুপ্ত করা হবে।-
এই আইনের জন্য সেনা কাশ্মীরে বিশেষ অধিকার পেয়ে থাকে। কংগ্রেস এই অধিকার কেড়ে নিতে চাই। জানিয়ে দি, কাশ্মীর কোনো শান্ত স্থান নয়। কাশ্মীরে জিহাদি কার্যকলাপ চলতেই থাকে যার জন্য সেনাকে বিশেষ অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস সেনার সেই অধিকার কেড়ে নিয়ে কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করার পরিকল্পনা করে ফেলেছে।
৩) জম্মু কাশ্মীর নিয়ে বিনা শর্তে আলোচনা-
পাকিস্থান ভারতের থেকে যেটা চাই সেটাই দেওয়ার জন্য পরিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস পার্টি।
৪) কাশ্মীরে সেনা ও প্যারা মিলিটারি ফোর্সের সংখ্যা কমানো হবে।-
এটার সরাসরি অৰ্থ কাশ্মীরে সেনাকে দুর্বল করে জিহাদি আতঙ্কবাদীদের সক্রিয় করে দেওয়া যাতে গজবা-এ-হিন্দ এর পথ পরিস্কার হয়।
কংগ্রেসের এই ৪ টি প্ৰতিশ্রুতি সরাসরি আতঙ্কবাদ,পাকিস্থানকে সমর্থন করে। এই কারণে অনেকে প্রশ্ন তুলেছে যে কংগ্রেসের মানুফেস্ট কে বানিয়েছে কংগ্রেস পার্টি নাকি হাফিজ সাঈদ! আর কয়েকদিন পরেই লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনে যদি কংগ্রেস পার্টি জয়লাভ করে তবে এই পতিশ্রুতিগুলি পূরণ করবে রাহুল গান্ধীর পার্টি। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই কংগ্রেস পার্টি তাদের দেশবিরোধীরুপ দেখিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কোনো মিডিয়া এটা নিয়ে খবর পরিবেশন করতে রাজি নয়। টাকা খেয়ে খবর পরিবেশন করা দালাল মিডিয়া কংগ্রেসের দেশ বিরোধী রাজনীতি নিয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চুপ।