সরকারি চাকরি ও শিক্ষায় মুসলিমদের ৪ শতাংশ সংরক্ষণ দিতে হবে। তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে এমনই দাবি তুলল কংগ্রেস। দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মিলে দাবি কার্যকর করার জন্য যাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চান, সেই নিয়েও সরব হয়েছে কংগ্রেস।
তবে, কংগ্রেসের এই দাবির ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন জগনমোহন ও চন্দ্রশেখর রাও। কারণ, এমনিতেই বিষয়টি বিচারাধীন। ১৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি। আর, তার চাইতেও বড় কারণ, বিজেপির চাপ। চন্দ্রশেখর এই দাবি জানালে, ধর্মীয় মেরুকরণ হয়ে যাবে তাতে সন্দেহ নেই।
একই হাল জগনমোহনেরও। তাই তিনিও মুসলিমদের জন্য চাকরি-শিক্ষায় সংরক্ষণের দাবি তুলতে পারছেন না। অন্ধ্রপ্রদেশের মধ্যেই যখন তেলেঙ্গানা ছিল, সেই সময় কংগ্রেসের সরকার। ক্ষমতায় জগনমোহনের বাবা ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডি। তিনিই মুসলিমদের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষায় ৪ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণা করেছিলেন।
তবে, রাজশেখরের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দফায় দফায় মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। জগনমোহন কংগ্রেস ভেঙে ওয়াইএসআর কংগ্রেস তৈরি করেছেন। তাঁর দলই অন্ধ্রপ্রদেশে ক্ষমতায় কিন্তু, তিনিও তাঁরা বাবার নেতৃত্বাধীন সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি অটল থাকতে চাইছেন না।
গত ২০১০ সালের ২৫ মার্চ, সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টির শুনানির সময়, ৪ শতাংশ মুসলিম সংরক্ষণের বাস্তবায়নে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। একইসঙ্গে জানিয়েছিল, পরবর্তী আদেশ না-দেওয়া পর্যন্ত বিসি-ই গ্রুপের অধীনে তালিকাভুক্ত ১৪টি শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ অব্যাহত থাকবে। তারপর বর্তমানেও বিষয়টি সাংবিধানিক বেঞ্চে বিচারাধীন।