আন্তর্জাতিক আদালতে মুখ পড়েছে। রাষ্ট্রসংঘেও ধাক্কা লেগেছে। এমনকি ঘরের মাটিতেও সমালেচনা। সবমিলে কুলভূষণ মামলায় আবারও চাপে ইসলামাদ। সংবাদ সংস্থা এএনআই খবর ও পাক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট, আন্তর্জাতিক আদালতের শর্ত মেনে সেনা আইনেই সংশোধন আনছে পাকিস্তান সরকার।
ডন, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সহ বিভিন্ন পাক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট,এই সংশোধনী গৃহীত হওয়ার পরে ভারতীয় গুপ্তচর সন্দেহে বন্দি কুলভূষণ যাদব নিজেই তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে পাক আদালতে আপিল করতে পারবেন। ভারতীয় নৌ সেনার প্রাক্তন এই অফিসারকে ইরানের দিক থেকে পাকিস্তানে অবৈধ উপায়ে প্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। পাক সরকারের দাবি, বন্দি কুলভূষণ যাদব বালোচিস্তানের বিদ্রোহীদের হয়ে নাশকতার ছক করেছিলেন।
যদিও কুলভূষণ সব দাবি অস্বীকার করেন। তিনি পাল্টা দাবি করেন, ইরানের মাটি থেকে তাকে অপহরণ করে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। তারপর গোপনে পাকিস্তানে আনা হয়। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক পরে কুলভূষণ-কে নৌ বাহিনির প্রাক্তন অফিসার বলে চিহ্নিত করে। আরও জানায়, কুলভূষণ যাদব ইরানে গিয়ে ছিলেন ব্যবসা করতে। এদিকে, পাক সরকারের আনা মামলায় কুলভূষণের ফাঁসির সাজা শোনানো হন। নয়াদিল্লি তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বলা হয়, জোর তরে কুলভূষণকে ভারতীয় গুপ্তচর সাজিয়েছে পাক সরকার। পরে তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক আদালতে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে রাজি হন।
জুরিরা কুলভূষণ যাদবের ফাঁসি স্থগিত রাখা ও তার জন্য আইনি সুবিধা দেওয়ার কথা বলেন। আন্তর্জাতিক আদালতে এই ধাক্কা খাওয়ার পর ইসলামাবাদ আরও নরম হল।
জানা গিয়েছে, পাক সেনা আইনে সংশোধ হলেই কুলভূষণ যাদব সরাসরি নিজের হয়ে পাক নাগরিক আদালতেই আপিল করতে পারবেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, সেনা আইনে মামলা চলছে এমন কেউ নাগরিক আদালতে আবেদন করতে পারেনা। তবে কুলভূষণের জন্য সেই আনে সংশোধন করা হচ্ছে। আইনের সংশোধনী আনতে পাক আইনসভার অনুমোদন ও সেনা কর্তাদের রাজি হতে হবে। তারও সবুজ সংকেত মিলবে দ্রুত।