রাজ্যপালের নিকট ভোট পরবর্তী হিংসার বিরুদ্ধে প্রশ্নতুলে অভিযোগ জানিয়েছেন #যোগক্ষেম নামক একটি সংগঠন। সংগঠনের সভানেত্রী মহুয়া ধর, সম্পাদক নির্মাল্য ভট্টাচার্য এবং সুমনা ঘোষ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ১২৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র রাজ্যপালের হাতে তুলে দেন। ভোট-পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে তা বন্ধ করে অবিলম্বে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য তাঁদের এই আবেদন।
উপরে উল্লেখিত আবেদনপত্রের বলা হয়েছে যে , ২ রা মেয়ে ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক হিংসা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে ৫ ই মে সরকার গঠনের পর সেই ঘটনাক্রম এখনো বজায় রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ রাজ্যের সর্বত্র একটি সন্ত্রাসের বাতাবরণ চলছে। তাঁদের বক্তব্য দেশে তিনটি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও ওই একই সময়ে ভোট হয়েছে এবং ওই একই দিনে ফল প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু সেই রাজ্যগুলিতে কোনরকম হিংসার বাতাবরণ পরিলক্ষিত হয়নি। অথচ , পশ্চিমবঙ্গে ক্রমাগত রাজনৈতিক বিরোধীদের ঘর পুড়িয়ে দেওয়া সম্পত্তি নষ্ট করা খুন ধর্ষণ গুম করার ঘটনা ঘটে চলেছে।
রাজ্যপালের কাছে তাঁদের অভিযোগ উক্ত সন্ত্রাসের ঘটনায় একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের বিশেষ সম্প্রদায়ের দুর্বৃত্তদের ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্য ক্রমে সন্ত্রাসী, দেশদ্রোহী সমাজবিরোধী এবং গোঁড়া মৌলভীদের হাতে চলে গেছে। তারাই বিরোধী সমর্থকদের ওপর অত্যাচার করছে ,হামলা করছে, রাজ্যজুড়ে এক পাশবিক বিশৃংখলার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুধার্ত মাংসাশী পশুর মত ঝাপিয়ে পড়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর করে , ঘরের মেয়েদের ইজ্জত লুটছে। যোগক্ষেম রাজ্যপালের নিকট এই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতিপূরণের জন্য দাবি করেছেন।