‘ভারতে বেশ কিছুদিন ধরেই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে’, বললেন বিশিষ্ট চিকিৎসক

ভারতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে বলে আগেই উল্লেখ করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। এবার সেই বক্তব্যই স্বীকার করে নিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক। জানালেন বেশ কিছদুন ধরেই ভারতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে।

শ্রী গঙ্গারাম হাসপাতালে চেস্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. অরবিন্দ কুমার বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন চলছে। ধারাভি সহ দিল্লির বেশ কিছু জায়গায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে। আমি আইএমএ-র সঙ্গে ১০০ শতাংশ সহমত।’

তবে ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়নি, এক একটা ছোট ছোট জায়গায় এই সংক্রমণ হয়েছে।

শুক্রবার আইএমএ জানিয়েছে, ভারতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। আইএমএ হসপিটাল বোর্ড অফ ইন্ডিয়ারে চেয়ারপার্সন ড. ভিকে মংগা বলেন, ‘বর্তমানে সংক্রমণ ক্রমশ ব্যাপক হারে বেড়ে চলেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০,০০০ করে বাড়ছে। এটা সত্যই খুব খারাপ পরিস্থিতি। গ্রামাঞ্চলে করোনা ছড়াতে শুরু করেছে। এটা খারাপ লক্ষণ। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গিয়েছে।’

একদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক দাবি করেছে যে ভারতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়নি। এরই মধ্যে আইএমএ-র এই বিবৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বে আমেরিকা ও ব্রাজিলের পরই তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।
ড, মংগা আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন।’ তিনি জানিয়েছেন, দিল্লির মত জায়গায় হয়ত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরল, গোয়া কিংবা মধ্যপ্রদেশের মত রাজ্যে প্রত্যন্ত এলাকায় কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে, তা কেউ জানে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.