‘চেয়ারম্যান মাও, আমাদের চেয়ারম্যান, ‘ধর্ম হচ্ছে জনগণের আফিম’, ‘পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি হচ্ছে শুয়োরের খোঁয়াড়, বেশ্যাবৃত্তি’ ইত্যাদি স্লোগানের সঙ্গে আমরা পরিচিত সেই ৭০-৮০-র দশক থেকেই। বলুন তো তথাকথিত কমিউনিস্টরা ধর্ম-বিরোধী না কেবল হিন্দু-বিদ্বেষী? দুর্গাপূজার প্যান্ডালের সামনে মার্কসীয় সাহিত্যের স্টল লাগে কিন্তু মুসলমানদের পরবের সময় তো মার্কসবাদ প্রচার করা হয় না। কতকগুলো উদাহরণ
দিচ্ছি। পঞ্জাবের কম: হরকিসেন সিংহ সুরজিতের হাতে বালা, মাথায় বাগড়ি, ইয়া লম্বা দাড়ি। সারাজীবন উনি শিখধর্ম নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতেন। নামটাও দেখুন, হর=শিব আর কিসেন=শ্রীকৃষ্ণের কিন্তু হিন্দুধর্মের প্রতি বিতৃষ্ণা ছিল চরম! সিপিআই নেতা কমঃ ইন্দ্রজিত গুপ্ত সারাজীবন বামপন্থার গীত গেয়েছেন। আর পড়ন্ত বেলায় ৬২ বছর। বয়সে, ইসলামধর্ম কবুল করে, ইফতিকার আলি নাম নিয়ে, নিকা করেন আহমদ আলির তালাকপ্রাপ্তা সুরাইয়াকে। আবদুর রেজ্জাক মোল্লা, সারাজীবন সরকারি সুবিধা ভোগ করলেন বাম-জামানায় বামপন্থী নেতা ও মন্ত্রী হয়ে। তারপর সুযোগ বুঝে, ২০১১ সালে হয়ে গেলেন তৃণমূলি নেতা ও মন্ত্রী কেননা কমিউনিস্টদের মতো মমতারও চাই মুসলমান ভোট। এই ধর্মপ্রাণ মুসলমান নেতা শোয়াব বা পুণ্য অর্জনের জন্য একাধিকবার হজ করেছেন কাফেরের রক্তজল করা পয়সায়। বামপন্থী নেতা সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন স্পিকার প্রয়াত হাসিম আব্দুল হালিমের দ্বিচারিতা লক্ষ্য করেছেন কী? তিনি কুম্ভকর্ণের মতোই খেতেন আর ঘুমাতেন। শরীরের অস্বাভাবিক ওজনের জন্য নানা ব্যাধিতে ভুগতেন আর মারাও যান সেই কারণে। তিনি খুবই নিষ্ঠাবান মুসলমান ছিলেন। মুখে ছিল হিন্দুধর্ম বিরোধী মার্কসীয় তত্ত্ব কিন্তু ব্যবহারিক জীবনে তিনি নিজে কাফেরের টাকায় হজ করেছেন নির্দ্বিধায়। অন্যদিকে উত্তর কলকাতার সিপিএম নেতা তথাক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী যখন তারাপীঠে পূজা দিতে গেছিলেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে ‘শোকজ-নোটিশ পাঠিয়েছিলেন, বামপন্থী নেতা সীতারাম ইয়েচুরি আর প্রকাশ কারাতারা। এদের দুজনেরই উৎপত্তি কিন্তু হিন্দু পরিবারে। তারা কিন্তু ইসলাম বা খ্রিস্টান-ধর্ম বিরোধী নন! মনুসংহিতা পোড়ানোয় বিশেষ পারদর্শী। প্রকাশ্যে বাছুরকে মেরে, গোমাংস। খেয়ে ও বিলিয়ে নিজেদের সেকুলারতত্ত্ব প্রমাণ করেছেন কিন্তু কখনও কি কোনো বামনেতার হিম্মত হয়েছে, কোরান বা হাদিসকে পোড়ানোর বা শুয়োরের মাংস মুসলমান বামনেতাদের খাওয়ানোর? আসলে ভীরু, কাপুরুষ, স্বার্থপর, লোভী আর বামপন্থী এইসব বাননেতারা হচ্ছেন বহুরূপী ! লক্ষ্য করেছেন, প্রতিটি মসজিদের আশেপাশেই আছে তাদের পার্টি অফিসগুলি। কীসের ভয়ে? তারা মার্কসের ‘দাস ক্যাপিটাল’, লেনিন বা মাওবাদ পড়েছেন কিন্তু গীতার মাত্র ৭০০ শ্লোক পড়েননি। হলপ করে বলতে পারি, হিন্দুনামধারী বামনেতারা কোনোদিন কোরান পড়েননি। যদি পড়তেন আর যদি সৎ-সাহস থাকতো তবে কখনই এতটা হিন্দু-বিরোধী হতে পারতেন না। যে থালাতে ভাত খাচ্ছেন তাকেই ফুটো করছেন! কীরকম মানুষ আপনারা? সীতারাম ইয়েচুরির ইংরেজি প্রবন্ধগুলি পড়লে বুঝতে পারবেন, কীরকম ভয়ংকর আর তীব্র তার হিন্দু-বিদ্বেষ। মোদী বারবার মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করেন। জানেন, কারা সেই জঘন্য ষড়যন্ত্রের পুরোহিত ?
হিন্দুনামধারী বামনেতাদের সর্বদায় হিন্দুধর্ম-বিরোধী হতেই হয়। আর এস এস, বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও বিজেপির কট্টর সমালোচনা করা, রামায়ণ ও মহাভারতের বিরুদ্ধে বিষ-উস্তার করা তাদের দৈনন্দিন কার্যের তালিকায় থাকে কিন্তু কোনো মুসলমান নামধারী তথাকথিত বামনেতা ইসলামের, ‘শরিয়তি আইন, কোরান বা হাদিশের সমালোচনা করার সাহস দেখিয়েছেন কি? বামনেতা কমঃ মোহম্মদ সেলিমকে (যার স্ত্রী একজন হিন্দু-ডাক্তার) কেউ দেখেছেন শুয়োরের মাংস খেতে? কিন্তু কমঃ বিমান বসু আর বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে সাচ্চা কমিউনিস্ট প্রমাণ করার জন্য প্রকাশ্যে গোমাংস খেতে হয় ! এরই নাম প্রগতিশীলতা আর ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ। সন্ত্রাসবাদী ‘লাদেনকে এনারা ‘কমরেড’ বলে সম্বোধন করেন। সুপ্রিমকোর্টের বিচারক, ‘আফজল গুরুর’ ফাঁসির সাজা শুনালে, এরা প্রতিজ্ঞা করেন, ‘তেরা কাতিল জিন্দা হ্যায়, হম সব শর্মিন্দা হ্যায়’! এরা বর্মা থেকে বিতাড়িত হিন্দু-বৌদ্ধদের খুনি, ধর্ষক ও সন্ত্রাসবাদী রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভারতে পুনর্বাসনের আপ্রাণ চেষ্টা করেন! এরা সিরিয়ায়, ইয়েমেনে, সুদানে এমনকী নিউজিল্যান্ডের ঘটনায় ঘড়া ঘড়া অশ্রুবর্ষণ করেন কিন্তু পাশের দেশ পাকিস্তান আর বাংলাদেশে যে প্রতিদিন পাইকারি হারে নিঃস্ব, অসহায় হিন্দুদের উপর অকথ্য অত্যাচার, খুন, ধর্ষণ আর ধর্মান্তকরণ ঘটে চলেছে, শুনেছেন তার বিরুদ্ধে সামান্য প্রতিবাদ করতে কোনো বামনেতাদের?
আচ্ছা বামনেতারা কি জানেন না, ইসলামিক রাষ্ট্রেবামপন্থার কোনো স্থান নেই? ভারত ইসলামিক রাষ্ট্র হলে তারাও তো মরবেন!ঋ তানা হলে ধর্মান্তরিত হয়ে পাকিস্তানের ‘মুজাহির’ আর বাংলাদেশে ‘মালাউন থেকে মুশরিক হবেন’! কামবাসনা পূর্ণ করার জন্য আইনত ৪টি বিবি অবশ্যই পাবেন আর রসনা তৃপ্তির জন্য গোমাংস!
যারা আরব থেকে তরবারি হাতে আক্রমণকারীর বেশে এল, আজ তারা হলো ইন্ডিয়ান আর মুলনিবাসী ভারতবাসী তারা হলো কাফের। মুসলমানরা ঋষি কশ্যপের দেশে হলো কাশ্মীরি আর হিন্দুপণ্ডিতরা হলো রিফিউজি! এটা আমার বা আপনার না, বামনেতাদের পরিভাষা। তাদেরকে রিফিউজি কেন হতে হলো? কারণ তারা নাকি মুসলমানদের আর্থিক অনটনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যেমনটি হয়েছিল অসমের ‘বাঙ্গালি হিন্দুদের উচ্ছেদের কারণ। এবার। পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালি হিন্দুদের কি হবে, ভেবেছেন সেকথা? কাশ্মীরি সন্ত্রাসবাদী ও নারীদষক ‘বুরহান ওয়ানি’ এদের ভাষায়, ‘গরিব স্কুলমাস্টারের মেধাবী ছাত্র। মিথ্যা মামলায় জড়ানো সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর ভূপালে বিজেপির টিকিটে কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহের বিরদ্ধে দাঁড়িয়েছেন বলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে কিন্তু ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ কেসে জামিনপ্রাপ্ত রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সেই একই ব্যক্তি নিশ্ৰুপ রয়েছেন। এতেই প্রমাণিত হয় বামপন্থীর দ্বিচারিতা। সিপিএমের আমলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ছিল বাঙ্গলায় বামেদের ৩৪ বছর টিকে থাকার মূল রহস্যটি। স্বাধীনতার পরে নেহর অদূরদর্শিতা আর ব্যর্থতার কারণে দ্বিখণ্ডিত ভারতে হিন্দুদের আর্থিক, সামাজিক, নৈতিক, ধার্মিক এবং শিক্ষার অধঃপতন ঘটে কেবলমাত্র মার্কস আর স্টালিনপন্থী চিন্তাবিদদের ভুলে ভরা নীতির জন্য। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা আর কেরলে তথাকথিত সংখ্যালঘুদের সাহায্যে দশকের পর দশক অসহায় হিন্দুদের উপর নিদারুণ শোষণ আর শাসন চালিয়ে গেছে। বামনেতারা। শংকরাচার্যের দেশ, ‘ভগবানের নিজের দেশ’, কেরলে হিন্দুর সংখ্যা ৪৫%, মুসলমান ২৭% আর খ্রিস্টান ১৯%। কেরলে বিজেপি জিততে পারবে? পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত সীমান্তবর্তী শহরগুলিতে (১১/১৮) হিন্দুরা সংখ্যালঘু। মুসলমান গুণ্ডারা হিন্দুদের ভোট দিতে দিচ্ছে না। শাসকদলের মুসলমান তোষণ নীতির জন্য পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। হিন্দুরা কম দামে মুসলমানদের কাছে নিজের সম্পত্তি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। লেখক নিজে, মুর্শিদাবাদেপিতৃপুরুষের ভিটা জমিজমা বিক্রি করে কলকাতায় পায়রার খাঁচার মতো ফ্ল্যাটে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। এখন ২০১৯ সালের লোকসভার নির্বাচন ঘিরে চরম উত্তেজনা! বামপন্থীরা ৪২টা সিটেই প্রার্থী দিয়েছে। রায়গঞ্জে দাঁড়িয়েছেন সিপিএমের সেলিম। বামনেতা বা তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকা মুললমান গুন্ডারা, রায়গঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে হিন্দুদের ভোট দিতে দিচ্ছে না? ভবিষ্যতের কটা বছরে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুর আর কোনো অস্তিত্বই থাকবে না! ইসলাম আর বামপন্থা যে মুদ্রার এপিঠওপিঠ। ডাঃ বিল ওয়ার্নারের পরিসংখ্যানে হিটালর ২০, মাও ৫০ আর স্টালিন ৬০ মিলিয়ন নিজের দেশবাসীকেই খুন করেছিলেন। এরা স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে দখল করেছে। এদের লোক সর্বত্র। পাঠককে অনুরোধ করবো, বিবেক অগ্নিহোত্রীর, বুদ্ধ ইন ট্রাফিক জ্যাম’ সিনেমাটি দেখতে। তারা সেখানে জেহাদিতত্ত্বকে প্রকাশ্যে সমর্থন ও সাহায্য করছে।
ইউরোপ আর আমেরিকা আজ অত্মসমর্পণের পথে। গত সপ্তাহেই আমেরিকা ভারতকে ন্যাটোর সদস্য করেছে, এই ভেবে যে ভবিষ্যতের ‘ইসলাম আর পশ্চিমি সভ্যতার যুদ্ধে ভারতকে সঙ্গী হিসেবে পেলে সাদা চামড়ার বহু খ্রিস্টান সৈনিক অকালমৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে। এমনিতেই তাদের জন্মহার ১% এরও কম। ইউরোপে এখন চার্চে আর লোক যায় না। পাব কালচার, মিউজিক কন্সার্ট আর সকারের নেশাতেই মত্ত সারা ইউরোপ। অন্যদিকে অতি সন্তর্পণে বামপন্থী ‘লেফট লিবেরালদের’ যাহায্য নিয়ে, মুসলমানরা সারাবিশ্ব থেকে এসে জড় হচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকা আর ভারতে কেননা কোরানে লেখা আছে দার-উল-হারাবকে দার-উল-ইসলামে পরিণত করতেই হবে।
এগুলি তো গেল বিদেশের কথা। আসলে লেখক বিদেশে বহুদিন বসবাস করার জন্য। সেদেশের অত্যন্ত শোচনীয় অবস্থার কথা চিন্তা করে, ভারতের সঙ্গে মিলিয়ে নেবার চেষ্টা করছে আর কি! আচ্ছা সত্যি করে বলুন তো, আপনারা কখনও শুনেছেন কি কোনো হিন্দু বা মুসলমান নামধারী বামনেতাকে তালিবান, আলকায়দা, বোকো হারাম বা জয়েশ-ইমহম্মদের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা তো দূরঅস্ত, নামোচচারণ মাত্র করেছেন? কানহাইয়া কুমার, অনির্বান ভট্টাচার্য্য, সহেলা রসিদ, ওমর খালেদের মতো বাম ছাত্রনেতারা প্রকাশ্যে হিন্দুদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি । দিচ্ছে, হিন্দুদেবদেবীদের অপমান করছে কিন্তু আমরা হিন্দুরা তথাকথিত শান্তির দোহায় দিয়ে সহ্য করে যেতে বাধ্য হচ্ছি। সীমান্তে গোরুপাচার, হিন্দু মেয়েদের অপহরণ, হিন্দু মন্দির লুণ্ঠন অবাধে হচ্ছে কিন্তু আমরা। জেনেশুনেও অসহায় হয়ে চুপ করে বসে আছি। নিজেদের অস্তিত্বের লড়াইয়ে একত্র । হয়ে বামপন্থার বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ হতে হবে। ভারতের সুরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা অজিত দোভালের কথায়, “আমাদের সব থেকে বড়ো শত্রু কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নয়, তার থেকেও বড়ো শত্রু হচ্ছে বামপন্থীরা অর্থাৎ মাওবাদী বা নকশালরা। ‘৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে’ ৫৮৭ জন্য জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু জানেন কি প্রতিবছর মাওবাদীদের হামলায় নিরীহ নাগরিক আর জওয়ানদের মৃত্যু গড়ে ১০০০ হাজারের বেশি? শুনুন, আপনারই পাশে বসে থাকা লোকটি বামপন্থী, আপনারই ছদ্মবেশী ঘাতক? তারা ব্যানার্জি, চ্যাটার্জি নামধারী কিন্তু তীব্র হিন্দু-বিদ্বেষী অথচ অত্যাচারী মুসলমানের প্রাণেরও আপন। সুতরাং শত্রুকে প্রথমে চিনতে হবে, তবেই লড়াই হবে!
জয় হিন্দ! বন্দে মাতরম!!
ডাঃ আর দাস
2019-05-24