ঘোর সঙ্কটে কর্নাটকের কুমরাস্বামী সরকার৷ জোটের শরিক কংগ্রেস মন্ত্রী ও বিধায়কদের পদত্যাগের হিড়িক৷ সমর্থন প্রত্যাহার করেছে দুই নির্দল বিধায়কও৷ স্পিকারের মরিয়া চষ্টাও ব্যর্থ হওয়ার জোগাড়৷ কার্যত সংখ্যালঘু কংগ্রেস জেডিএস জোট সরকার৷ এই অবস্থায় ক্যাবিনেট বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্র৷ মনে করা হচ্ছে সেখানেই সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দেবেন তিনি৷
বুধবারই কংগ্রেস বিধায়ক ও নেতা শিব কুমার চেষ্টা করেছিলেন দলীয় মন্ত্রীদের রাজি করিয়ে মন্ত্রীত্বে ফেরানোর৷ কিন্তু, মুম্বইয়ে বসে তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়৷ উলটে পুলিশের হাতে আটক হতে হয় শিবকুমারকে৷ পরে বেঙ্গালুরুর বিমান ধরেন তিনি৷ বিজেপি পরিচালিত মহারাষ্ট্র সরকারের এই আচরণে ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের এই দক্ষিণী নেতা৷ তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্রের শাসক দল বিরোধীদের আটকাতে সরকারি ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছে৷’
এদিকে বুধবার দিনভর সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো টানটান নাটক চলেছে দক্ষিণী রাজ্যে। কর্ণাটকে বিজেপি-কংগ্রেসের দড়ি টানাটানি পৌঁছে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। শাসকজোটের বিক্ষুব্ধ বিধায়করা আর্জি করেছেন, স্পিকারকে দ্রুত ইস্তফা মঞ্জুরের নির্দেশ দিক আদালত৷
বিদ্রোহী বিধায়করা গতকাল ফের স্পিড পোস্টে স্পিকারকে ইস্তফার চিঠি পাঠান। তাঁর সঙ্গে ভিডিও কলেও কথা বলেন। এসবের মধ্যেই বিধায়কদের ইস্তফা অব্যাহত থাকায় সরকারের সঙ্কট বাড়ছে। এদিন, আরও ২ কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায়, শাসকজোটের পক্ষে বিধায়ক সংখ্যা নেমে এসেছে ১০২। অন্যদিকে, ১ নির্দল বিধায়ক মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে শিবির বদল করায় বিজেপির পক্ষে এখন ১০৬ জন বিধায়কের সমর্থন৷
শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশন শুরুর পর, আস্থা ভোটের আগে চিন্তা বাড়ছে কুমারস্বামীর। মুম্বইয়ে শিবকুমারকে আটকানোর প্রতিবাদে এদিন বেঙ্গালুরুতে রাজভবন অভিযান করে কংগ্রেস-জেডিএস। সামিল হন দেবগৌড়া ও গুলাম নবি আজাদ। স্পিকার ইস্তফা ঝুলিয়ে রাখায় ও মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর পদত্যাগের দাবিতে বিধানসভায় ধর্নায় বসে বিজেপি।