জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় রবিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছিল নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই। রাতভর সেই লড়াই চলার পর সোমবার ভোরে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সেনার তরফে। মৃতদের মধ্যে এক জন জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার কম্যান্ডার বলে জানা গিয়েছে। অন্য জনও ওই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তবে দু’টি দেহ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়নি। উদ্ধারের পরেই সেগুলির শনাক্তকরণ হবে বলে সেনা সূত্রে খবর।
রবিবার রাতে কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া যায় যে, পুওয়ামার লারো-পারিগাম এলাকায় পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলেছে। কাশ্মীর জ়োন পুলিশের তরফে ‘এক্স’(টুইটার)-এ হ্যান্ডলে লেখা হয়, “পুলওয়ামার লারো-পারিগাম এলাকায় গুলির লড়াই শুরু হয়েছে। পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে।” ওই এলাকায় জঙ্গি গতিবিধি লক্ষ করা গিয়েছে বলে আগেই গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছিল। তার পরেই ওই এলাকায় বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়।
এর আগে গত ৬ অগস্ট, জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় বারিয়ামা এলাকায় সেনা-পুলিশ গুলির লড়াইয়ে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় এক জঙ্গির। তার দু’দিন আগেই অর্থাৎ ৪ অগস্ট রাজৌরির খাওয়াস অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলেছিল। কুলগাম জেলায় সেনা-জঙ্গি সংঘাতের সময় জঙ্গিদের চালানো গুলিতে নিহত হয়েছিলেন তিন সেনা জওয়ান। কুলগামের হালান বনাঞ্চল এলাকায় সন্দেহজনক গতিবিধি টের পাওয়া মাত্রই ৪ অগস্ট সন্ধ্যায় সেখানে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ভারতীয় সেনা এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। যৌথবাহিনী চার দিক থেকে ঘিরে নিলে জঙ্গিরা জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। তখনই জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন তিন সেনা জওয়ান।