সিএএ এখনও লাগু করা যায়নি। তাই ভোটমুখী গুজরাতে অমুসলিমদের ঘুরপথে নাগরিকত্ব দিচ্ছে বিজেপি সরকার। সেই নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এই আবহে নাগরিকত্ব ইস্যুতে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘অত্যাচারিত শিখ ও হিন্দুদের জন্যই নাগরিকত্ব আইন’।
গুরু নানকের জন্ম জয়ন্তীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদী। সেখানে তিনি বলেন, ‘দেশভাগ এবং বিভাজনের শিকার হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজন। আর তাই জন্যই আমরা সিএএ আইন তৈরি করে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনারা দেখছেন, অত্যাচারিত বঞ্চিত শিখ নাগরিকদের গুজরাতে নাগরিকত্ব দিয়ে ওঁদের মধ্যে এই বিশ্বাস তৈরি করতে চেয়েছি যাতে বিশ্বের সর্বত্র শিখরা জানবেন ভারতই ওদের নিজের দেশ’।
ভোটমুখী গুজরাতে এবার নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের। এই তালিকায় রয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং জৈনরা। এই মর্মে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি নির্দেশিকা ইস্যু করা হয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে গুজরাতের মেহসানা এবং আনন্দ জেলার কালেক্টরদের। জানানো হয়েছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা ওই অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে হবে। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায়।