কাশ্মীরে এবার পরিবর্তন দেখা দিতে শুরু হয়েছে। ২৮ বছর পর কাশ্মীরের অনন্তনাগে সিনেমা হল খোলা হয়েছে। ৮ মার্চ হেভেন সিনেমা হল পুনরায় খোলা হয়েছে। প্রারম্ভিক পর্যায়ে মাত্র ২০-২৫ জন মানুষ সিনেমা দেখতে এসেছিলেন। সুরক্ষা কারনের জন্য ১০ দিনে ৫ টি শো আয়োজিত করা হয়েছিল। জানিয়ে দি কট্টরপন্থীরা কাশ্মীরে সিনেমা হল বন্ধ করে রেখেছিল। ১৯৯১ সালে অমিতাভ বচ্চনের কালিয়া সিনেমা চলার সময় আতঙ্কবাদী সংগঠন ‘আল্লাহ টাইগার’ এই সিনেমা হলের উপর গ্রেনেড ফেলেছিল।
এখন CRPF এর উদ্যোগে পুনরায় সিনেমা হল চালু করা হয়েছে। CRPF দিল্লী থেকে সিলভার স্ক্রিন আনিয়েছে। একইসাথে ডলবি সারাউন্ডিং সাউন্ড সিস্টেম লাগানো হয়েছে। দক্ষিণ কাশ্মীরে ২৫০ আতঙ্কবাদী সক্রিয় হয়ে রয়েছে। যার জন্য সিনেমা হল চালু করা একটু চ্যালেনজিং ব্যাপার ছিল। কিন্তু পুলবামা হামলার পর CRPF জওয়ানরা ঠিক করে নেয় যে এবার কোনো সিদ্ধান্ত আতঙ্কবাদীদের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হবে না। এবার ‘আল্লাহ টাইগার’ আসুক বা ‘জইস-ই-মহম্মদ’ সকলের চ্যালেঞ্জ স্বীকার করে সিনেমা হল চলবে। এখন যুবকদের বিনামূল্যে টিকিটও দেওয়া হচ্ছে।
আতঙ্কবাদীদের মতে সিনেমা দেখা ইসলাম বিরোধী কাজ, তাই সিনেমা হল বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হতো। কাশ্মীর থেকে হিন্দু পন্ডিতদের বিতাড়নের পর সেখানে আতঙ্কবাদ নিজের শিকড় মজবুত করে নেয় এবং স্বর্গের কাশ্মীর জঙ্গিদের আড্ডাখানায় রূপান্তরিত হয়। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত কাশ্মীরে অনেকগুলি সিনেমা হল চলত কিন্তু তারপর থেকে অবস্থা হাতের বাইরে যেতে শুরু হয়।
মাঝে দু একবার সিনেমা হলকে খোলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আতঙ্কবাদীরা ইসলামের নামে হুমকি দেয় এবং আত্মঘাতী হামলা শুরু করে। যার জন্য সরকার পদক্ষেপ নিতে সাহস পায়নি। কিন্তু এখন কাশ্মীরে রাজ্যপাল সক্রিয় রয়েছে এবং জিহাদ মুক্ত কাশ্মীর গড়ার জন্য তৎপর হয়েছে।