প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে কমিটি গড়া থেকে শুরু করে পেপসি-কোলার মতো পানীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১২টি প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থের উপর নিষেধাজ্ঞা আনতে চাইছে কেন্দ্র। তার মধ্যে পানীয় বোতল, থার্মোকল ছাড়াও রয়েছে সিগারেটের ফিল্টার।
জানা গিয়েছে, সরকার একটি তালিকা তৈরি করে সেই তালিকা কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের হাতে তুলে দিয়েছে। এই তালিকায় ৫০ মাইক্রণের কম প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ, মোড়ানোর জন্য ব্যবহার করা প্লাস্টিক, পান করার স্ট্র, প্লাস্টিকের কাপ ও প্লেট, প্লাস্টিকের কন্টেনার, বেলুন, পতাকা, সিগারেটের ফিল্টার, রাস্তার ধারের ব্যানার প্রভৃতি রয়েছে বলে খবর। ২০২২ সালের মধ্যে ভারতকে প্লাস্টিক মুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, এমন বেশ কিছু জিনিস রয়েছে, যাতে সরাসরি প্লাস্টিক না থাকলেও প্লাস্টিক জাতীয় বেশ কিছু উপাদান থাকে, যার জেরে পরিবেশ দূষণ হতে পারে। সিগারেটের ফিল্টারও তার মধ্যেই পড়ে। আর তাই এই তালিকার মধ্যে সিগারেটের ফিল্টারকেও নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফিল্টারের ক্ষেত্রেও বিকল্প কী ব্যবহার করা যায়, সে ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
এর আগে গত সোমবার সোমবার খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী রাম বিলাস পাসোয়ান বিভিন্ন পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি জানান, প্লাস্টিক কীভাবে ব্যান করা হবে সেই ব্যাপারে পরিকল্পনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি তাদের সিদ্ধান্ত সরকারকে জানাবে। এই বৈঠকে উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব এ কে শ্রীবাস্তব ও অন্যান্য আমলারাও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড, এফএসএসএআই ও আইআরসিটিসি-র আধিকারিকরাও হাজির ছিলেন বৈঠকে।
বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের সামনে রাম বিলাস পাসোয়ান বলেন, “পরিবেশ দূষিত করার ক্ষেত্রে একটা বিরাট ভূমিকা পালন করে প্লাস্টিক। এ ছাড়াও পশু-পাখিদেরও সমস্যা হয়। আমরা খবর পেয়েছি, আজকাল গরুদের পেটে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে।” তিনি জানান, সেজন্যই রিসাইক্লিং ( পুনর্ব্যবহার ) না করে প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে।