লাদাখ সীমান্তে ভারতের তরফে সেনা সমাবেশ বৃদ্ধি করা হতেই সুর নরম করল চিন (China)। বুধবার সকাল থেকেই লাদাখের লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল তথা এলএসি (LAC) বরাবর সেনা সমাবেশ বাড়ানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। ভারতের এই পদক্ষেপের পরেই বেজিংয়ের তরফ সমঝোতার বার্তা দেওয়া হয়।
বুধবার চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিচিয়ান জানান, সীমান্তে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা দু’দেশেরই রয়েছে। নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত সান ওয়েইডং-ও এদিন কূটনৈতিক সৌজন্যের বার্তা দিতে চেয়েছেন । তিনি বলেছেন, “এই দুই দেশ পরস্পরের জন্য অনেক সুযোগ বহন করছে এবং এই দুই দেশ পরস্পরের জন্য বিপজ্জনক নয়।”তাঁর কথায়, “বিক্ষিপ্তভাবে যে মতান্তর তৈরি হয়েছে, তা যেন দু’দেশের মধ্যে সার্বিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর প্রভাব না ফেলে, সেটাই মঙ্গল। ড্রাগন ও হাতি পরস্পর হাত ধরে নাচছে, দু’দেশের জন্য সেটাই সঠিক পদক্ষেপ হবে।”
অবশ্য চিন সুর নরম করলেও এদিন ভারতের তরফে এ বিষয়ে এদিন ভারতের তরফে এ বিষয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি। উলটে সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে (Manoj Mukund Naravane ) সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দিল্লির সাউথ ব্লকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দপ্তরের সেই বৈঠকে লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় এলএসি বরাবর হাজার পাঁচেক সেনা যে চিন মোতায়েন করে রেখেছে এবং তিব্বতের বিমানঘাঁটির শক্তিও যে ক্রমশ বাড়ানো হচ্ছে, সেকথা মাথায় রেখেই কূটনৈতিক পথে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হলেও এলএসি বরাবর পালটা সামরিক তৎপরতা থামিয়ে দেওয়া হবে না বলেই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
কারণ, চিনের সৌজন্য বার্তার উপর যে ভরসা করা যায় না, অতীতে তার বহু প্রমাণ মিলেছে। অবস্থান বদলাতে চিন সিদ্ধহস্ত। তাই এদিন সুর নরম হলেও আগামিদিনে যে তারা লাদাখে আগ্রাসন বৃদ্ধি করবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। সূত্রের খবর, চিনের তরফে সুর নরম করা হলেও ভারত এখনই লাদাখ থেকে সেনা কমাবে না এবং সেখানে সামরিক তৎপরতা অব্যাহত থাকবে, এমনটাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এবং ভারতের এই কড়া অবস্থান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশেই।