লাদাখের (Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের যুদ্ধ তৎপরতা বাড়ছে। কখনও ঘনঘন সাঁজোয়া গাড়ি যাতায়াত করছে, তো কখনও আবার ভারতের আকাশসীমার গা ঘেঁষে উড়ছে চিনা চপার। সেকথা মাথায় রেখেই এবার কোমর বাঁধল ভারতও। এবার পূর্ব লাদাখ সেক্টরে সারফেস টু এয়ার মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম (Air missile defence systems) মোতায়েন করল ভারতীয় সেনা। এই ক্ষেপণাস্ত্র বা মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম অত্যাধুনিক প্রযুক্তির। এবং খুব দ্রুত শত্রুপক্ষে আঘাত হানতে পারে।
মে মাসের মাঝামাঝি থেকেই চিনের সঙ্গে ক্রমাগত টানাপোড়েন বাড়ছে। এরপর গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এমন অবস্থায় চিন লাদাখ সীমান্তে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমান নিয়ে এসেছিল। যেগুলিকে সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে ভারতীয় ভূখণ্ডের কাছে উড়তে দেখা গিয়েছে। তবে পিছিয়ে নেই ভারতীয় সেনাও। সূত্রের খবর, রাশিয়া থেকে একটি অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাবে। যা লাদাখে মোতায়েন করা হতে পারে। কিন্তু লালফৌজের চোখে চোখ রেখে জবাব দিতে পূর্ব লাদাখে সারফেস টু এয়ার মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করল ভারত।এমনকী, উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে কাজ করার জন্য ইতিমধ্যেই আকাশ মিসাইল সিস্টেমে আপগ্রেড করা হয়েছে। পূর্ব লাদাখ এলাকায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলিও বেশ সক্রিয়। ইতিমধ্যেই নজরদারিত যে জায়গায় ফাঁক রয়েছে সেগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ভারত আকাশ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম (Akash missile) লাদাখে নিয়ে গিয়েছে। যা খুব দ্রুতগতির যুদ্ধ বিমান এবং ড্রোনকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ধ্বংস করে দিতে পারে।সরকারি এক সূত্র সংবাদসংস্থা ANI-কে বলছে, “এই সেক্টরে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে চিনের বিমান বাহিনীর যে কোনও হামলা রোধে ভারতীয় সেনা এবং ভারতীয় বায়ুবাহিনী উভয়ই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলি এই সেক্টরে মোতায়েন করেছে।”