চিনকে রুখতে আরও শক্তিশালী আইটিবিপি, ১০ হাজার নতুন জওয়ান নিয়োগ

সীমান্তে ওঁত পেতে রয়েছে হানাদার চিনা বাহিনী। সুযোগ পেলেই থাবা বাড়াতে প্রস্তুত লালফৌজ। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরায় রয়েছে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ (ITBP)। আলোচনা চললেও সামরিক দিক থেকে প্রস্তুত থাকতে এবার অতিরিক্ত ১০ হাজার জওয়ান ভরতি করে আরও সাতটি নতুন ব্যাটালিয়ন তৈরি করতে চলেছে এই বাহিনী।

ITBP-তে আরও ১০ হাজার জওয়ান নিয়োগের বিষয়টিতে ইতিমধ্যে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এবার ক্যাবিনেটের সম্মতি মিললেই শুরু হবে বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধির এই প্রক্রিয়া। প্রায় ৯০ হাজার জওয়ান নিয়ে গঠিত ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ বাহিনী মূলত চিনের সঙ্গে সাড়ে তিন হাজার লম্বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার সুরক্ষায় মোতায়েন থাকে। লাদাখের (Ladakh) কারাকোরাম গিরিপথ থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশের জাচেপ লা পর্যন্ত সীমান্তের নজরদারি করে ভারতের এই আধা সামরিক বাহিনীটি। ফলে পাহাড়ি অঞ্চলে লড়াই ও পালটা হামলায় রীতিমতো অভিজ্ঞ ITBP জওয়ানরা। এবার আরও ১০ হাজার জওয়ান যোগ হলে বাহিনীর মোট সদস্য সংখ্যা বেড়ে এক লক্ষে পৌঁছে যাবে। এর ফলে চিন সীমান্তে লালফৌজের আগ্রাসনের আরও কড়া জবাব দিতে সক্ষম হবে ভারত।

উল্লেখ্য, গালওয়ান উপত্যকায় চিনা ফৌজের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষে লড়াই করেছিলেন ITBP’র জওয়ানরাও। পূর্ব লাদাখে ভারতীয় জমিতে চিনা হানাদারদের প্রবেশ করতে দেয়নি তাঁরা। গালওয়ান উপত্যকায় পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে একনাগাড়ে প্রায় ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত লড়াই করতে হয়েছে জওয়ানদের। পাহাড়ি অঞ্চলে লড়াইয়ের প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার জেরে ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীতির কাছে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছিল সুশিক্ষিত লালফৌজের সৈনিকরা। শুধু তাই নয়, ভারতীয় ফৌজের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষস্থল থেকে আর্মির আহত জওয়ানদেরও উদ্ধার করেন ITBP’র সদস্যরা। এহেন সাহসিকতা ও চিনা ফৌজের হামলা রুখে দেওয়ার জন্য ২৯৪ ITBP জওয়ানকে সম্মানিত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.