ভারতের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিচ্ছে চিন : জয়শংকর

অত্যন্ত বিরক্তিকর প্রতিবেশি চিন, যে বার বার ভারতের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেয়। সাত মাস ধরে সীমান্তে নিজেদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে আসছে ভারত। শনিবার এই ভাষাতেই চিনের সমালোচনা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। পূর্ব লাদাখে চিনের আগ্রাসী মনোভাবের নিন্দা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ করেছে বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রী বলেন ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী।

এদিন জয়শংকর জানান, ভারত নিজের সার্বভৌম স্বার্থ রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। কোনও বহিরাগত শক্তিকে দেশের মাটিতে প্রবেশ করতে দেবে না ভারতীয় সেনা। যে চ্যালেঞ্জ চিন ভারতকে দিয়েছে, তা ভারত তা গ্রহণ করেছে। তাই চিন যেন ভারতকে দুর্বল না ভাবে।

তিনি বলেন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পূর্ব লাদাখে চিন অশান্তি তৈরির যত বার চেষ্টা করেছে, ভারতীয় সেনার প্রতিবার তার কড়া উত্তর দিয়েছে।

এস জয়শঙ্কর বলেন গালওয়ান ভ্যালির সংঘর্ষের ঘটনা সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে। চিনের প্রতি ভারতের স্বাভাবিক মনোভাব ও মানসিকতা বদলে গিয়েছে এই ঘটনার পর থেকেই। একটি ভার্চুয়াল মিটে অংশ নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন এই মুহুর্তে ভারত ও চিনের সম্পর্ক একটি বড় সড় চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গত ৩০-৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম দুদেশের সম্পর্ক এত আলোচিত। ১৯৭৫ সালে সীমান্তে সংঘর্ষের পর এই প্রথম এত সমস্যা ও জটিলতা তৈরি হয়েছে।

বিদেশমন্ত্রী জানান, চিন মুখে বন্ধুত্বের কথা বললেও, কাজে শত্রুতা দেখায়। দুমুখো নীতিতে বিশ্বাসী চিন। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার সঠিক ব্যাখ্যা চিন দিতে পারেনি। পাঁচবার পাঁচ রকম ব্যাখ্যা দিয়েছে বেজিং, যার কোনওটাই বিশ্বাসযোগ্য নয়। কিন্তু যাই হোক না কেন, লাদাখে চিন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অশান্তি সৃষ্টি করেছে।

বিদেশমন্ত্রীর মতে ভারত চিনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়, কিন্তু চিন বাস্তবে তা হতে দিচ্ছে না। বারবার আঘাত করার মনোভাবে বিশ্বাসী চিন। ফলে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব গিয়ে পড়ছে সীমান্তে। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে একাধিক আলোচনা করার পরেও দুদেশের সম্পর্কে স্থিতাবস্থা আসেনি। এজন্য দায়ি বেজিং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.