‘সময়সূচিগত সমস্যা’, আফগানিস্তান প্রসঙ্গে বৈঠক এড়ানোর অজুহাত দিল চিন।

চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন মঙ্গলবার বলেছেন, “নির্ধারিত কারণে, বৈঠকে যোগ দেওয়া চিনের পক্ষে অসুবিধাজনক।” ওয়াংকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে কেন চিন “আফগানিস্তান সংক্রান্ত আলোচনায়” যোগ দেবে না। জবাবে ওয়াং বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই ভারতকে আমাদের উত্তর জানিয়েছি।”

এর আগেই বৈঠক থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল পাকিস্তান। উল্লেখ্য, চিন, পাকিস্তান এবং রাশিয়া এই তিন দেশ আফগান তালিবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখে চলছে। যদিও তারা এখনও আফগানিস্তানে তালিবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। তালিবানকে স্বীকৃতি না দিলেও অগাস্ট মাসের পর থেকে তালিবদের সঙ্গে ঘন ঘন যোগাযোগ করা বন্ধ করেনি বেজিং।

এদিকে তালিবান সরকারও চিনকে তাদের এক “বিশ্বস্ত বন্ধু” বলে অভিহিত করেছে। বেজিংকে আশ্বস্ত করেছে যে তারা পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টকে জিনজিয়াংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদকে ইন্ধন দিতে দেবে না।

গত মাসে, চিনা স্টেট কাউন্সিলর এবং বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই, আফগানিস্তানে তালিবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপ-প্রধানমন্ত্রী, মোল্লা আব্দুল গনি বরাদরের সঙ্গে কাতারের রাজধানী দোহাতে আলোচনায় বসেছিল।

সূত্রের খবর, এই বৈঠকে আফগানিস্তানের মসনদে নতুন করে তালিবান অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জনিত সমস্যা তৈরি হয়েছে, এই বৈঠকে মূলত সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হবে। এছাড়াও আফগান ভূমে মাদক পাচরকারীদের ভূমিকা নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, কূটনৈতিক স্তরে বরাবরই আফগানিস্তানের সঙ্গ ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। ভারত মনে করছে আফগানিস্তানের শাসনভার তালিবানের হাতে যাওয়ার পর থেকে সেদেশের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিক্রিয়া প্রয়োজনীয়। বিদেশ মন্ত্রকের মতে, এই বৈঠক সেই আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ারই পদক্ষেপ। এই বৈঠকে অংশগ্রহনকারী দেশে গুলির নিরাপত্তা আধিকারিকদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করারও কথা রয়েছে। আফগানিস্তানের সামপ্রতিক পরিস্থিতির ওপর ভারতে নেতৃত্বে এই প্রথম এই ধরনের বৈঠক আয়োজন করা হচ্ছে। এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ইরান এই ধরনের দুটি বৈঠক আয়োজন করেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.