ভারতের উত্তরে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে চিনের সেনাবাহিনী। লাদাখে যে সংঘাত চলছে, সেই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন খোদ মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও (Mike Pompeo)। লাইন অফ অ্যাকচুয়ার কন্ট্রোলের দিকে চিন এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
একটি পডকাস্টে পম্পেও বলেন, ‘আমরা সাম্প্রতিককালে দেখলাম কীভাবে চিনের বাহিনী ভারতের উত্তরে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যাতে স্বাভাবিক ভাবেই উত্তেজনা বাড়ছে। এমনকি দুটি বিচ্ছিন্ন সংঘাতের ঘটনাও ঘটেছে।’
একই সঙ্গে করোনা প্রসঙ্গেও পম্পেও বলেন, ‘উহান থেকে শুরু হওয়া মহামারীর যে চিন সঠিক সময়ে জানায়নি, সেটাও লুকিয়ে যাচ্ছে চিনের কমিউনিস্ট ওআর্টি। চিন হংকংয়ের মানুষের স্বাধীনতা হরণ করেছে।’ দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের দাদাগিরির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
পম্পেও-র আরও অভিযোগ যে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের নামে চিনের সেনাবাহিনী বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বন্দর তৈরি করেছে। বিগত ২০ বছরে আমেরিকা সেভাবে জবাব দেয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে আমেরিকার ‘হাউস অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি’র প্রধান ইলিয়াড এনজেল ভারতের বিরুদ্ধে চিনের দাদাগিরির কড়া নিন্দা করেছেন। লাদাখে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের কাছে যে সংঘাত চলছে সেই প্রসঙ্গে বার্তা দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, সম্মানের সঙ্গে নিয়ম মেনে চলো কূটনীতি ও উপযুক্ত পন্থা মেনে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করো।
তিনি আরও বলেন, ”ভারত ও চিনের সীমান্ত চিন যে আগ্রাসন চালাচ্ছে তাতে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। চিন এভাবেই আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছে যে তারা আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে প্রতিবেশী দেশকে উত্তপ্ত করতে পছন্দ করে।
তাঁর কথায় প্রত্যেকটা দেশকে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। বলেন, ”চিনের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, যাতে তারা যথাযথ নিয়ম মেনে ও কূটনীতি ব্যবহার করে সীমান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধান করে।
সামরিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারত ও চিন দুই দেশের সেনাবাহিনী অস্ত্রশসত্র নিয়ে একে অপরের দিকে এগোচ্ছে। বিতর্কিত এলাকায় সামরিক ঘাঁটির কাছে ঘোরাফেরা করছে কমব্যাট ভেইকল।
ভারতীয় সেনাও পিছপা হচ্ছে না। অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হচ্ছে সীমান্তে। ওই এলাকায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা।