খাবার জোটে না শিশুদের, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝোলাল গ্রামবাসীরা

শিশুদের জন্য দৈনিক বরাদ্দ রয়েছে পুষ্টিকর খাবার। রয়েছে রান্নার সামগ্রী। উনুন ও রান্নাঘর সমেত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও আছে। এমনকি রয়েছে দিদিমনি ও সহায়িকাও। কিন্তু তবুও শিশুদের কপালে ঠিকমত খাবার জোটে না বলে অভিযোগ। অভিভাবক থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সকলেই এই ব্যাপারে একাধিকবার অভিযোগ জানালেও অবস্থার কোনও বদল হয়নি। বাধ্য হয়েই শনিবার সকালে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা। বালুরঘাট ব্লকের অন্তর্গত বিরহীনি গ্রামের এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।

জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সকালে গুটিগুটি পায়ে শিশুরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসে। কিন্তু দিদিমণি ও সহায়িকারা সময়মতো না আসায় অধিকাংশ শিশু খালি পেটে বাড়ি ফিরে যায়। এমনই অবস্থা বালুরঘাট ব্লকের অন্তর্গত বিরোহিনী গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। যদিও ওই কেন্দ্রের সহায়িকা সুজলা বর্মনের অভিযোগ, তিনি সময় মতো কেন্দ্রে এলেও দিদিমনি নিয়মিত আসেন না। রান্না করা ও খাবার পরিবেশন সেই সঙ্গে শিশুদের সামলানো তাঁর একার পক্ষ্যে সামলানো অসম্ভব হয়ে উঠে।

এদিকে, সরকারী বরাদ্দ থাকলেও শিশুরা তা ঠিক মত না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। শনিবার সকালে বাসিন্দারা সকলে মিলে অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিপুল বর্মন অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিনই শিশুরা এসে ঘুরে চলে যায়। দিদিমনি ও সহায়িকার নিজেদের মধ্যে গন্ডোগোলের জেরে সময়মতো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘর খোলা হয় না।

অনেক দেরিতে খোলা হলেও বাচ্চাদের জন্য বরাদ্দ ডিম সহ পুষ্টিকর খাবার সব চুরি যায়। অভিযুক্ত দিদিমনি ও সহায়িকাকে সরিয়ে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিও জানান তিনি।

এদিকে খাবার চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রের দিদিমণি সুজো মহান্ত। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, সহায়িকা তাঁর নির্দেশ মানে না। যে কারণে সময়মত ঘর খোলা সম্ভব হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.