সকালে শোনা গেছিল যে, এনআরএসে আহত জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে যাবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সেই মতে মল্লিকবাজারের হাসপাতালে সুরক্ষাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় সোজা চলে যায় নবান্নে। আরেকদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারেরা সোজাসুজি জানিয়ে দেয় যে, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাবেন না, মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের কাছে এনআরএসেই আসতে হবে। জুনিয়র ডাক্তারদের এহেন সিদ্ধান্তের জন্যই হয়ত আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে গেলেন না। তবে শোনা গেছে যে, পরিবহকে দেখতে যাবেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং স্বাস্থ্য সচিব রাজীব সিংহ।
এনআরএস কাণ্ডের পর গোটা দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ডাক্তারদের প্রতিবাদ সেবার শুধু এরাজ্যেই নয় গোটা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে। ডাক্তারদের সংগঠন Indian Medical Association মমতা ব্যানার্জীকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে, ডাক্তারদের দাবি না মানলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে। এমনকি তাঁরা রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় আইন লাগু করতে চায়।
এর আগে এনআরএস কাণ্ডের পর বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে গেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সেখানে গিয়ে তিনি রোগী এবং রোগীর পরিবারের সাথে দেখা করেন, এবং তাঁর সাথে ডাক্তারদের উপর রাজনৈতিক রঙ লাগিয়ে তাঁরা পদবী দেখে চিকিৎসা করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর ডাক্তারদের হুঁশিয়ারি দিয়ে চার ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরে আসার নির্দেশ দেন। ওনার এই হুঁশিয়ারির পর এসএসকেএম এর জরুরি বিভাগ খুললেও এনআরএস তাঁদের দাবিতে অনড় থাকে।