জ্ঞান ও সৃজনশীলতার শহর চেন্নাই সর্বদা শক্তি ও উৎসাহে পরিপূর্ণ। রবিবার চেন্নাইয়ে গিয়ে এভাবেই “দক্ষিণ ভারতের প্রবেশদ্বার’-কে প্রশংসায় ভরিয়ে তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন সকালে চেন্নাইয়ের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠান থেকেই সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অর্জুন ট্যাঙ্ক (এমকে-১এ) ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও চেন্নাই মেট্রো রেলের ফেস-১ সম্প্রসারণের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “চেন্নাই শক্তি ও উৎসাহে পরিপূর্ণ। জ্ঞান ও সৃজনশীলতার শহর হল চেন্নাই। চেন্নাই থেকে, আমরা প্রধান ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রকল্পগুলির শুভারম্ভ করছি। এই প্রকল্পগুলি উদ্ভাবন এবং দেশীয় উন্নয়নের প্রতীক।” তামিলনাড়ুর কৃষকদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “রেকর্ড পরিমানে খাদ্যশস্য উৎপাদন এবং জলের উৎসের সুব্যবহারের জন্য তামিলনাড়ুর কৃষকদের আমি প্রশংসা করতে চাই। জল সংরক্ষণের জন্য আমরা যা যা করতে পারি তা করতেই হবে। ‘প্রতি ড্রপ, আরও ফসল’ মন্ত্রটি সর্বদা মনে রাখবেন।”
রবিবারই পুলওয়ামা হামলার দ্বিতীয় বছর, এই দিন জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপোরায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। পুলওয়ামা হামলার ভয়াবহ স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “কোনও ভারতীয় নাগরিক আজকের দিন ভুলতে পারবেন না। দু’বছর আগে, পুলওয়ামা হামলা হয়েছিল। সেই হামলায় প্রাণ হারানো সমস্ত শহিদকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমাদের সুরক্ষা বাহিনীর প্রতি আমরা গর্বিত। তাঁদের সাহসিকতা ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে থাকবে।” প্রধানমন্ত্রী এদিন জানান, “তামিলনাড়ু এমনিতেই অটোমোবাইল ম্যানুফাকচারিংয়ের হাব অফ ইন্ডিয়া হিসেবে অগ্রসর হচ্ছে। আমি দেখতে পাচ্ছি, তামিলনাড়ু ভারতের ট্যাঙ্ক উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবেও বিকশিত হচ্ছে।…তামিল অধিকারের বিষয়টি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছি আমরা। তামিলরা যাতে সাম্য, ন্যায়বিচার, শান্তি এবং মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার হেফাজতে নেই কোনও ভারতীয় মৎস্যজীবী।”
শুভ উদ্বোধন ও শিলান্যাস
রবিবার চেন্নাই মেট্রো রেলের ফেস-১ সম্প্রসারণের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্ষেত্রে ব্যয় হয়েছে ৩,৭৭০ কোটি টাকা। ৯.০৫ কিলোমিটার লম্বা এই সম্প্রসারণ উত্তর চেন্নাইয়ের সঙ্গে বিমানবন্দর এবং সেন্টার রেল স্টেশনকে কানেক্ট করবে। এছাড়াও চেন্নাই সৈকত এবং আট্টিপাট্টুর মাঝে চতুর্থ রেললাইনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ জন্য খরচ হয়েছে ২৯৩.৪০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী এদিন আইআইটি মাদ্রাজের ডিসকভারি ক্যাম্পাসের শিলান্যাস করেছেন। চেন্নাইয়ের কাছে থাইয়ুরে নির্মিত হবে এই ক্যাম্পাস।