‘বিক্রমের খোঁজ আগেই পেয়েছি’, চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ারের দাবি উড়িয়ে জানালেন শিবন

২৪ ঘণ্টা আগেই চাঁদের মাটিতে ভেঙে পড়া চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার বিক্রমের ছবি প্রকাশ করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এই ব্যাপারে চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ার সন্মুগ সুব্রহ্মণ্যনকে কৃতিত্ব দিয়েছে তারা। কিন্তু এই কৃতিত্ব নাসা বা সন্মুগকে দিতে নারাজ ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। তাদের সাফ জবাব, ইসরোর অরবিটার অনেক আগেই দেখতে পেয়েছে বিক্রমের ধংসাবশেষ।

সম্প্রতি ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানান, “বিক্রমের ধংসাবশেষ তো আমাদের চন্দ্রযান ২-এর অরবিটার আগেই দেখতে পেয়েছিল। সে কথা আমরা আগেই আমাদের ওয়েবসাইটেও জানিয়েছি। কেউ চাইলে তা দেখে নিতে পারেন।” ইসরোর ওয়েবসাইটে ১০ সেপ্টেম্বরের একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, “চন্দ্রযান ২-এর অরবিটার বিক্রমের হদিশ পেয়েছে। তবে বিক্রমের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি। ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার জন্য সব রকমের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’’

মঙ্গলবার সকালে ছবি প্রকাশ করে নাসা জানায়, তাদের লুনার রেকনিসেন্স অরবিটার তথা এলআরও চাঁদ পরিক্রমা করার সময়েই চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের টুকরো দেখতে পেয়েছে। বিক্রম ল্যান্ডারের ভাঙা অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। নাসার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ার সন্মুগ সুব্রহ্মণ্যন প্রথমে ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করেন। বিক্রম ল্যান্ডার যেখানে ক্র্যাশ ল্যান্ড করেছিল তার উত্তর পশ্চিম দিকে একটা বড় উজ্জ্বল পিকসেল প্রথমে চিহ্নিত করেন তিনি।

এর পরই সন্মুগ লুনার রেকনিসেন্স অরবিটার প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা গবেষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর কথা শোনার পরই ওই প্রজেক্ট টিম চন্দ্রযান নামার আগের ও পরের ছবির তুলনা করে বুঝতে পারে ওটা ল্যান্ডারই ধ্বংসাবশেষ।

প্রথম ছবিতে অবশ্য সবকিছু পরিষ্কার ভাবে ধরা পড়েনি। কারণ, যেখানে বিক্রম ক্র্যাশ ল্যান্ড করেছিল সেখানে বিশেষ আলো ছিল না তখন। তাই পরবর্তীকালে অক্টোবরের ১৪ ও ১৫ তারিখ এবং নভেম্বরের ১১ তারিখ আরও কয়েকটি ছবি তোলা হয় নাসার কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে। তার পরই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হন নাসার মহাকাশ গবেষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.