আর এক ধাপ৷ তারপরেই লক্ষ্যপূরণ৷ ভারতের মহাকাশ গবেষণার মুকুটে উঠবে গর্বের পালক৷ যার নাম হবে চন্দ্রায়ন ২৷ ইসরো জানাচ্ছে দোসরা অগাষ্ট অর্থাৎ শুক্রবার দুপুরে পৃথিবীকে ঘিরে চতুর্থ পাক শেষ করেছে চন্দ্রায়ন ২৷ যার অর্থ এবার সোজা চাঁদে পাড়ির পথ বাকি, যা এই অভিযানে চাঁদের মাটি ছোঁয়ার শেষ অংশ৷
ইসরোর পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, স্পেসক্রাফটি আপাতত নির্দিষ্ট করে দেওয়া শেষ কক্ষপথে পৌঁছেছে৷ প্রায় ১০ মিনিট ধরে সর্বোচ্চ কক্ষপথে সফলভাবে পাক খেয়েছে সেটি এবং শেষ পর্যন্ত চন্দ্রায়ন২ তার স্পেসক্রাফটটিকে প্রতিস্থাপন করতে পেরেছে৷
জুলাই মাসের ২২ তারিখ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের দিকে যাত্রা করে৷ ২০শে অগাষ্ট চাঁদের মাটি ছোঁয়ার কথা চন্দ্রায়ন-২য়ের৷ এবার একেবারে অন্ধকার দিকটিতে চন্দ্রায়ন ২ নামবে৷ এই অংশটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩৭০ মাইল দূরে৷
বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদের এই অংশটিতে যে পাথর রয়েছে তা প্রায় ৪বিলিয়ন বছরের পুরোনো৷ বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এখানেই ছিল এক বিশালকার সমুদ্র৷ সেই সমুদ্রের তরল পাথর জমাট বেঁধে চাঁদের মাটিতে এই পাথর জমেছে৷
মূলত জলের সন্ধানে এবার চন্দ্রাভিযান ভারতের৷ এই রোভারে রয়েছে মোট ১১টি অংশ৷ ভারতের ছটি, তিনটি ইউরোপের, ২টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের৷ চন্দ্রায়ন ২ উতক্ষেপন করা হবে GSLV Mk II রকেট থেকে৷ এই স্পেসক্র্যাফ্টের ওজন ৩ হাজার ২৯০ কেজি৷ ১৪ দিন এই যান চাঁদে কাটাতে পারবে৷ চন্দ্রপৃষ্ঠে একাধিক পরীক্ষা চালাবে এই চন্দ্রযান৷ ৬ চাকার একটি রোভার চন্দ্রপৃষ্ঠে ঘুরে বেড়াবে৷ চন্দ্রপৃষ্ঠকে এটি পর্যবেক্ষন করবে ও ডেটা পাঠাবে পৃথিবীতে৷
ইসরোর তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল চন্দ্রায়ন-২- এর তিনটি মডিউল রয়েছে- অরবিটার, ল্যান্ডার ও রোভার। ভিতরে থাকবে রোভার। অরবিটার, ল্যান্ডার থাকবে একসঙ্গে। ল্যান্ডারটি চাঁদের মাটিতে অবতরণের পর খুলে যাবে দরজা। তখন ল্যান্ডারের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার।
রোভারটি আসলে একটি গাড়ি। যা পৃথিবী থেকে রিমোট কন্ট্রোলে চালানো যায়। ওই গাড়ি চাঁদের মাটিতে চালিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবেন বিজ্ঞানীরা। ল্যান্ডারটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিক্রম’। রোভারটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রজ্ঞান’।