বিধানসভা নির্বাচনে নির্ঘণ্ট জারি হতেই রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন। শুক্রবার বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তার আগেই রাজ্যে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কীভাবে মোতায়েন হবে, অর্থাৎ কোন জেলায় কত সংখ্যক করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে তা নিয়ে বিস্তারিত তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের তরফে। কমিশন সূত্রে খবর, এই ১২৫ কোম্পানির মধ্যে ১১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে মধ্যেই চলে এসেছে রাজ্যে। এ বার রাজ্যের দ্বিতীয় দফায় ১৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে চলেছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের এই কেন্দ্রীয় বাহিনী ৮ মার্চের মধ্যেই রাজ্যে আসবে। তারপর থেকেই শুরু হয়ে যাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রক্রিয়া।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায় রাজ্যে যে সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে চলেছে তার মধ্যে বেশির ভাগটাই প্রথম দফার নির্বাচনের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হবে। অর্থাৎ প্রথম দফায় যে যে জেলাগুলিতে নির্বাচন রয়েছে, সেই সেই জেলাগুলিতে এই ১৭০ কোম্পানির মধ্যে থেকে বেশিরভাগ পাঠানো হবে। তবে কোন জেলায় কত জওয়ানকে পাঠানো হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে বিরোধী দলগুলির তরফে রাজ্য পুলিশের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বিরোধী দলগুলির তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে ভোটে কাজে লাগানো হয় তার দাবিও উঠে এসেছে। যদিও কমিশন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের মধ্যে যোগসূত্র থাকবে। শুধু তাই নয় প্রত্যেক দিনের কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি রিপোর্টও প্রত্যেকটি জেলা প্রশাসনকে পাঠাতে হবে, রাজ্যের সিইও দফতরকে যার নির্দেশ ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে প্রত্যেকটি ডিসট্রিক্ট ইলেকশন অফিসারদের।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে মোট ৭৪৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। কমিশন সূত্রে খবর, এ বারে একদিকে যেখানে বুথের সংখ্যা বেড়েছে, অন্যদিকে সামগ্রিকভাবে রাজ্যের আইন শৃংখলার কথা মাথায় রেখে সর্বশেষ ১০০০ কোম্পানির কাছাকাছি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। অবশ্য রাজ্যে যেহেতু আট দফায় ভোট হবে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন কমিশনের আধিকারিকরা।
ইতিমধ্যেই বিজেপি কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে, যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে জাতীয় সড়কেই না ঘোরানো হয়। সংবেদনশীল অঞ্চলগুলোতেও যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো র ব্যবস্থা করা হয়। এ দিকে, বিভিন্ন জেলায় টহলদারি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে শুরু করেছে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন। ভোটারদের মনোবল বাড়াচ্ছেন তাঁরা। তবে রাজ্যে প্রথম দফার ভোটের আগেই প্রায় ৩০০ কোম্পানির কাছাকাছি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন যাকে রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।