ভারত সহ বিশ্বজুড়ে করোনার গাইডলাইন মেনে পালিত হচ্ছে বড়দিন। একদিকে যেমন করোনা ভীতি, তেমনই অনেকেই সেই ভীতিকে কাটিয়ে জড়ো হয়েছে গির্জার বাইরে। ক্রিসমাস উৎসব আনন্দে কাটাতেই পছন্দ করছেন সকলে।
দেশের মধ্যে দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু ও কাশ্মীর, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং গোয়া সহ দেশের প্রতিটি রাজ্যে ক্রিসমাস ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হচ্ছে। ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে গোয়ার রাজধানী পানাজিতে আওয়ার লেডি অফ দ্য ইম্মাকুলেট কনসেপশন চার্চ-এ মধ্যরাতে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে প্রচুর লোক জড়ো হয়। শুধু তাই নয়, দিল্লিসহ প্রতিটি শহরের চার্চ সাজানো হয়েছে।
আরও পড়ুন – ২৫ ডিসেম্বর ২৫ ফুটের সবচেয়ে বড়ো কেক, বিলি করা হবে হাজার শিশুর মধ্যে
কলকাতার আইকনিক সেন্ট পলস ক্যাথেড্রালে প্রতি বছরের মতো মধ্যরাতের পরে সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রতিবছর এখানে ক্রিসমাসের আগের সন্ধ্যায় প্রচুর মানুষ জড়ো হয়। এবছর তারই মধ্যে দেখা যায়, করোনা নিয়ে সাবধানবাণী করে ব্যানার ও সতর্ক থাকার উপায়। এছাড়া মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিশ।
তবে চার্চের বাইরে আসা লোকেরা জানিয়েছেন, করোনার জেরে যেভাবে গিরজা বন্ধ রাখা হল তাতে তাঁরা মোটেই খুশি না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রিসমাস উপলক্ষে একটি গির্জায় যান।
অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে আর্চ বিশপের বাড়িতে যান। এছাড়া চলতি বছরে করোনার কথা মাথায় রেখে ক্রিসমাসে গির্জায় বড় আকারের প্রার্থনা সভা করতে নিষেধ করা হয়েছে।
রাজধানী দিল্লিতে এই প্রথম করোনার জেরে বৃহত্তম চার্চ বন্ধ থাকবে। যদিও চার্চটি সাজানো হয়েছে তবে প্রবেশের অনুমতি নেই। ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র চার্চের সদস্যরা প্রার্থনা করতে পারবেন। জারজন্য বিশেষ ব্যবস্থারও আয়োজন করা হয়েছে।
চার্চ আধিকারিকদের দাবি, প্রতিবছর ক্রিসমাসে দুই লক্ষেরও বেশি ভক্ত আসতেন, তবে এবার বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এবার কোনও ভিভিআইপি-কে এই চার্চে আমন্ত্রণ করা হয়নি। একই সঙ্গে প্রবেশদ্বারে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে দিল্লি পুলিশের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে।