লন্ডনের থেকেও দিল্লি সুরক্ষিত। এমনকি দিল্লি পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা পরিণত হবে বলে মনে করেন আম আদমি পার্টির মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। কারণ দিল্লিতে যে পরিমান সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে, তা পৃথিবীর কোনো শহরে নেই। দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার এই কাজ নিরন্তর ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।
সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, এর আগে লন্ডনে সরকারি তরফে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সংখ্যাটা ছিল খুবই কম। ওই কাজ এখনও চলছে। এদিকে এখনই দিল্লিতে সরকারি তরফে লন্ডনের থেকে বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো শুরু হয়েছে। এখান থেকেই পরিষ্কার লন্ডনের থেকে বেশি সুরক্ষিত শহর হবে দিল্লি।
জৈনের কথায়, রাজধানী শহর দিল্লিতে ২.৮০ লক্ষ সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু করছে সরকার। প্রথম পর্যায়ে ১.৪০ লক্ষ সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১.৪০ লক্ষ সিসিটিভি ক্যামেরার কাজ শুরুর জন্য সরকার প্রস্তাব দিয়েছে। আগামী ১ বছরের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ন করা হবে তিনি জানিয়েছেন। এরপরই সিসিটিভি ক্যামেরায় নজর রাখার দিক থেকে দুনিয়ার সবচেয়ে সুরক্ষিত শহর হবে দিল্লি।
কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর খরচ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এক, এই বিপুল পরিমাণ সিসিটিভি লাগানোর খরচ সরকার কীভাবে বহন করবে? দুই, এত সংখ্যক সিসিটিভি লাগানোর ফলে যে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হবে, সেই বিদ্যুতের বিল মেটাতে সরকার হিমশিম খাবে না তো?
যে ধরনের ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে, তাতে প্রতিটি ক্যামেরায় মাসে ৬ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে। আবার সিসিটিভির একটি প্যানেলে ২০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়। এই একটি প্যানেলে সর্বাধিক ৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা রাখা সম্ভব। প্রতি ৫০ মিটার ছাড়া এই ক্যামেরা লাগানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে এই বিপুল পরিমাণ সিসিটিভি থেকে বিশাল পরিমান বিদ্যুৎ খরচ হবে বলাই যায়।