লাদাখ নিয়ে সংসদে তাঁর বক্তৃতা ঝড় তুলেছে। কাঁপিয়ে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াও। লাদাখের বিজেপি সাংসদ সেরিং নামগ্যালের বক্তৃতার প্রশংসা করে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। সেই টুইট সমানে রিটুইট হয়ে চলেছে। লাইক, কমেন্টের বন্যা বইছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তরুণ সাংসদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টের সংখ্যাও।
গতকাল, বুধবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সেরিং লিখেছেন, “আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ভরে উঠেছে। ফেসবুক ফ্রেন্ডের যেহেতু একটা নির্দিষ্ট সংখ্যা থাকে ৫০০০, তাই আর কাউকে অ্যাকসেপ্ট করতে পারছি না। তাই দয়া করে লাইক করুন এবং আমার অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফলো করুন। ”
জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করেছে সরকার। পাশ হয়েছে বিল। এই সিদ্ধান্তকেই যুগান্তকারী বলে সংসদে ঝাঁঝাঁলো ভাষণ দিয়েছেন লাদাখের বিজেপি সাংসদ জামইয়াং সেরিং নামগ্যাল। তিনি বলেছেন, “লাদাখের মানুষ চায়নি কাশ্মীরের অনুগত হয়ে থাকতে। ৭০ বছর ধরে লাদাখ চেয়েছে আলাদা হতে। এত দিনে স্বপ্ন সত্যি হল।” তাঁর কথায়, “মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।”
সেরিংয়ের দাবি, কংগ্রেস যত দিন জম্মু-কাশ্মীরে ক্ষমতায় ছিল, লাদাখের ছিটেফোঁটাও উন্নতি হয়নি। একটাও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়নি। লাদাখের মানুষের ভাষাকে কোনও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে লাদাখে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়।কাশ্মীরের দুই প্রভাবশালী পরিবার— মুফতি এবং আবদুল্লাদের সমালোচনাও করেন সেরিং। বলেন, “ওই দুই পরিবার এতদিন কাশ্মীরকে নিজেদের পারিবারিক সম্পত্তি বলে মনে করত।”
তরুণ সাংসদের বক্তৃতার ভূয়সী প্রশংসা করে ভিডিয়ো পোস্ট করে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘লাদাখের ভাইবোনেরা কী চাইছেন, তা সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে সাংসদের বক্তৃতায়। অবশ্যই শুনুন।’’