Story image

যদি সত্যজিৎ রায়ের নারী চরিত্রেরা এই মুহূর্তে জীবন্ত হয়ে চোখের সামনে চলাফেরা করেন, যাঁদের পরনে সেইসব শাড়ি, যা জড়িয়ে রাখত তাঁদের ব্যক্তিত্বকে, উজ্জ্বল করে তুলত তাঁদের স্বকীয়তা? মনে কি হবে না, যে বাংলার তাঁত, ঢাকাই ও বয়ন শিল্পের সমৃদ্ধ ঘরানা যা আজ প্রায় বিস্মৃতির আড়ালে চলে গেছে, তা যেন ফের মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে, আর সঙ্গে হাজার হাজার বাঙালি নারী যেন বাধ্যতামূলক ‘ফিউশন’, বা হিন্দি ছবিতে দেখা নায়িকাদের অন্ধ-অনুকরণ থেকে মুক্তি পেয়ে হয়ে উঠেছেন সর্বজয়া, অপরাজিতা?

ঠিক এই অসম্ভব কাজটিই সম্ভব করে তুলেছেন কলকাতার শিল্পী শ্যাম বিশ্বাস। চার বছর কলকাতায় গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড ক্রাফ্‌টস-এ টেক্সটাইল বিভাগে পড়াশোনা করার পরে বোম্বে-র একটি কর্পোরেট অফিসে কাজ করেন বর্তমানে। শৈশব থেকেই বড় হয়ে ওঠা সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা দেখে। তাঁর সিনেমায় সেট ডিজাইন, কস্টিউম ডিজাইন সবকিছুর প্রতি শ্যামের কৌতূহলী ও যত্নবান দৃষ্টি। একই সিনেমা বারবার দেখেও যেন পুরোনো হতে চায় না—সত্যজিতের সিনেমার ক্রাফ্‌ট তাঁকে মুগ্ধ করে। সিনেমার প্রতি এবং সত্যজিৎ রায়ের প্রতি অবসেশন তাঁর সামনে খুলে দেয় অন্য এক দিগন্ত, যেখানে ‘পথের পাঁচালি’, ‘ঘরে-বাইরে’ বা ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’-এর নায়িকারা, নারী চরিত্রেরা যেন আবারও জীবিত হয়ে ওঠার সুযোগ পান তাঁদেরই শাড়ি পরে।

শ্যাম বিশ্বাস ফিরিয়ে আনেন সেইসব শাড়ির ডিজাইন, বুনন এবং মোটিফ। শ্যাম বিশ্বাসের কাছে প্রশ্ন ছিল, সত্যজিতের নায়িকারা আলাদা করে কি কোনো প্রভাব রাখতে পেরেছেন তাঁর মনে? অথবা তাঁর নারী-চরিত্রদের মধ্যে কি বিশেষত্ব ছিল, যার জন্য তিনি এই অভিনব পরিকল্পনাটি করেন। “আমি ছোট থেকেই সত্যজিৎ বাবুর ছবি দেখতাম, এই পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই মাথায় ছিল। এবার সত্যজিৎ রায়ের জন্মের একশো বছর পূর্ণ হবে, তাই থেকেই মাথায় ভাবনা-চিন্তা আসে’ জানান শ্যাম। সদ্য এক বছর কলকাতায় ফেরা শ্যামের গলায় আক্ষেপ ঝরে পড়ে, “কর্পোরেট অফিসে চাকরি করার জন্য এই ধরণের কাজ করার সুযোগ খুব কম পাওয়া যায়।”

সত্যজিতের ছবির নারীদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে খুবই সাদৃশ্য খুঁজে পান তাঁদের পরা শাড়িগুলির, কখনো জ্যামিতিক নকশায়, কখনো বুটিদার পাড়ে, বা ডুরে শাড়িতে যেন গাঁথা হয় স্বাধীন নারীর পাঁচালি।

‘পথের পাঁচালি’-তে যেমন সর্বজয়ার ‘কুঞ্জলতা’ শাড়ি। শাড়ির পাড়ে বড় বড় ফুল পাতার মোটিফে সাজানো হয়েছে কুঞ্জলতার বলিষ্ঠ অথচ কোমল-ঘরোয়া রূপটি, যা মিলে গেছে সর্বজয়ার পরিস্থিতি ও চরিত্রের সঙ্গে। কুঞ্জলতার স্বরূপ অনেক প্রতিকূলতা ও অনেক সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা—সর্বজয়াও তাই। “কুঞ্জলতা অনেক স্ট্রাগ্‌ল করে অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তার অস্তিত্ব টিঁকিয়ে রাখে, আমার মনে হয় সত্যজিৎবাবু সচেতন ভাবেই তাঁর সর্বজয়াকে পরান এমনই এক মোটিফের শাড়ি, যা অপরাজেয় কোমলতার প্রতীক” শিল্পী শ্যাম বিশ্বাস এভাবেই পাঠ নিয়েছেন সত্যজিতের সর্বজয়ার; “অথবা ধরুন ‘ঘরে-বাইরে’-তে বিমলা যে শাড়ি পরেছেন, আমি সেটা ডেভেলপ করেছি, ব্ল্যাক অ্যান্ড রেড বর্ডার, মাঝে হোয়াইট পার্টিশন এবং আবার রেড বর্ডার। বিমলার জীবনে প্রথাভাঙা প্রেম এবং বেরঙিন বৈধব্য জীবন—ঐ দৃশ্যের পরেই তার স্বামী মারা যায়—সিনের সাথে ক্যারেক্টারের তাঁর যে কস্টিউম ভাবনা—এটা ভীষণ ইম্প্রেস করেছে।”

‘কুঞ্জলতা’, সর্বজয়ার শাড়ি

কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে শ্যাম বিশ্বাস এই কাজ করছেন, যাতে অতীতের দলিল হয়ে আবার সামনে আসতে পারছে শাড়িগুলি? শিল্পী জানান তাঁর শাড়িগুলি উইভিং করেই করা। এই কাজ করতে অনেক রিসার্চ করতে হয়েছে তাঁকে, কথা বলতে হয়েছে যাঁরা সত্যজিতের ছবিতে কাজ করেছেন, সেইসব বয়ন শিল্পীদের সঙ্গে। মাধবী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে শিল্পী জানতে পারেন, তাঁর চারুলতার জন্য সত্যজিৎ নাকি নিজে গিয়ে পছন্দ করে চন্দন-পেড়ে ডুরে শাড়ি নিয়ে এসেছিলেন, যা আজ থেকে কুড়ি-বাইশ বছর আগে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সাদা-কালোয় শুটিং হওয়া এই শাড়িগুলির রঙের ক্ষেত্রে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে, কল্পনার ওপর ভিত্তি করে এবং বয়ন-শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে কালার-কম্বিনেশন ঠিক করতে হয়েছে। “সর্বজয়া ব্রাহ্মণ বাড়ির বউ। কখনো সাদা শাড়ি, কালো পাড় পরবেন না, কারণ তিনি সধবা, ঐতিহ্য মেনে চলা হরিহরের স্ট্রিক্ট চরিত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে সহজেই বোঝা যাবে, যে সর্বজয়ার পক্ষে সাদা শাড়ি লাল পাড় পরাই স্বাভাবিক”—অকপট শিল্পী।বাংলা, বাঙালি ও ঐতিহ্যের সেকাল-একাল শিল্পী শ্যাম বিশ্বাসকে মূলত ভাবায়। বারবার তাঁর কথায় উঠে আসে বাঙালির হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতির আঁচলের নকশী-কথা। “এখন বিয়েতে দেখবেন, সাজগোজ, মেকআপের কতটা পরিবর্তন। আমার মনে হয় বিয়ের দিন গায়ে হলুদ জল পড়লে বাঙালি মেয়েদের রূপে এক কোমল ঔজ্জ্বল্য আসে, যা একান্তই পৌরাণিক ঐতিহ্যের সঙ্গে চলে আসছে যুগ-পরম্পরায়। সেই প্রাকৃতিক রূপটা এখন ঢেকে যাচ্ছে অবাঙালি সাজগোজ ও শোচনীয় মেকাপে। বিয়েবাড়ির খাবারের পদগুলিতেও দুই-তিনটি মাছের পদের বদলে জায়গা করে নিচ্ছে কন্টিনেন্টাল ডিশ—এই পরিবর্তন মেনে নিতে পারিনা। বাঙালি ট্র্যাডিশন ফিরিয়ে আনার তাগিদ অনুভব করি। আমরা ক’জন জানতাম যে সর্বজয়ার শাড়ির নাম কুঞ্জলতা? বা ডুরে শাড়ির ঐতিহ্যের কথা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ক’জন নারী জানেন? আমি হয়তো কিছুই করতে পারবোনা, কারণ কাজটা খুবই চ্যালেঞ্জিং, তবু মানুষের কান পর্যন্ত পৌঁছানো দরকার…” এই ঐতিহ্য কেন হারিয়ে গেল, এর জন্য কি অন্য সংস্কৃতির আগ্রাসন দায়ী, প্রশ্ন করাতে শিল্পীর অকপট জবাব, “একদমই… ঢাকাই শাড়িতে বোমকাই পাড়, পৈঠানী শাড়ির প্যাটার্ন এল বালুচরিতে, কটনের শাড়িতে ভেলভেট পাড়—এই ধরণের উদ্ভট ফিউশনে নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে হারিয়ে ফেলছি নিজেদের ট্র্যাডিশন, এর জন্য নিজেরাই দায়ী…” শিল্পীর আফসোস, তাঁর বাড়ির কাছেই যে শান্তিপুর, ফুলিয়া, সেখানে হ্যান্ডলুম বাদ দিয়ে পাওয়ার লুমে শাড়ি বোনা হয়। এমন ধরণের শাড়ি, যা এখন মার্কেটে চলছে, বয়ন শিল্পীরা মার্কেটের ডিমান্ড অনুযায়ী কাজ করছেন। ওনাদের কিছুই করার নেই তবুও যেন তাঁদের হাতেই হারিয়ে যেতে চলেছে নিজেদের সংস্কৃতি ও পরিচয়।

চারুলতা’র চন্দন-পেড়ে ডুরে শাড়ি

সত্যজিৎ বিশ্বভারতীর কলাভবনে ছবি আঁকা শিখতে শুরু করেন উনিশশো’ চল্লিশে, সান্নিধ্য পান শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর, চিঠিতে লেখেন, ‘মাস্টারমশাইর আন্ডারে কাজ করতে খুব ভালো লাগছে।…’ ‘মাস্টারমশাই’ তথা নন্দলাল বসু, দিনকর কৌশিক, শিক্ষার্থী-বন্ধু পৃথ্বীশ বিয়োগী—এঁদের সংস্পর্শে সত্যজিতের চলচ্চিত্র-ভাবনায় শৈল্পিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে। ফলে সত্যজিতের নারী-চরিত্রদের শাড়ির মোটিফ কেন এভাবে মনোযোগ কাড়ল শিল্পীর, তা সহজেই অনুমেয়। শ্যাম বিশ্বাসের কথায়, “অরণ্যের দিনরাত্রি-তে সেই বিখ্যাত মেমোরি গেমের দৃশ্যে শর্মিলা ঠাকুর একটি শাড়ি পরেন, যা প্রিন্টে করা। সেইসময়ে প্রিন্ট সবেমাত্র আসছে ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে। বেশিরভাগ সময় উইভিং ও হ্যান্ডলুমেই কাজ হত” শর্মিলা ঠাকুরের শাড়ির সঙ্গে কন্ট্রাস্ট বজায় রেখে জয়া চরিত্রের শাড়ি আবার বলিষ্ঠ জ্যামিতিক পাড়ের, ঢাকাই কাজের। সত্যজিতের ছবিতে কস্টিউম কখনোই শুধুমাত্র পোষাক হয়ে ওঠেনি, তা চরিত্রের গায়ের ভাঁজে লেগে যেন একেকটা স্বতন্ত্র চরিত্রই হয়ে উঠেছে।

‘ঘরে বাইরে’-তে বিমলা’র চওড়া পাড়ের শাড়ি

এই শাড়িগুলি মার্কেটিং-এর ক্ষেত্রে কি পরিকল্পনা করেছেন শিল্পী? ইতিমধ্যেই তারকাদের জগতে সাড়া ফেলতে শুরু করেছে তাঁর শাড়ি। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত চারুলতার ডুরে শাড়ি, নৃত্যশিল্পী মধুবনী চট্টোপাধ্যায় ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’-র জয়া বা কাবেরী বসুর শাড়িটি পরে মনে করিয়ে দিলেন সেই সাদা ঢাকাইয়ে কালো পাড়ের সাহসী লীলাময়ী নকশা। নৃত্যশিল্পী রীণা জানা নিজেকে সাজিয়েছেন সেই বলিষ্ঠ-কোমল-অকপট সর্বজয়ার ‘কুঞ্জলতা’ শাড়িতে। বলা বাহুল্য, এই শিল্পীরা নতুন সাজে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে পেরে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত। শ্যাম বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁরা ভবিষ্যতে আরো কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। শিল্পী কি তাঁর শাড়িগুলি সমাজের প্রভাবশালী মানুষদের দ্বারা বিজ্ঞাপিত করে বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছবেন বলে মনে করেন? “স্টার যাঁরা, তাঁদের ফলো করেন বেশিরভাগ মানুষ। স্টাইল স্টেটমেন্ট হিসেবে পরে এটাকে মানুষ ধীরে ধীরে এক্সেপ্ট করতে শুরু করবে হয়তো। এনারা সকলেই আমায় উৎসাহিত করেছেন, শাড়িগুলি ভালোবেসে পরেছেন। কোয়েল মল্লিক, মধুবনী সবার থেকে অ্যাপ্রিশিয়েটেড হয়েছি, সবাই খুব পছন্দ করেছেন কাজটা। সমাজের প্রতিষ্ঠিত মানুষ যখন অ্যাক্সেপ্ট করছেন, হয়তো তাঁদের কিছু মনে হয়েছে—কাজটার থেকে কিছু পেয়েছেন, সম্ভাবনা দেখেছেন।” আশাবাদী শ্যাম বিশ্বাসের সরল স্বীকারোক্তি।

‘অরন্যের দিনরাত্রি’-তে জয়া’র শাড়ি

শাড়িগুলি বিক্রি করছেন তিনি, যদি কেউ আলাদা ভাবে অনু্রোধ করেন এবং যদি সেই নির্দিষ্ট শাড়ি তাঁর স্টকে থেকে থাকে। প্রিন্টের ক্ষেত্রে যেমন একই প্রিন্ট একাধিক শাড়িতে করা যায়, উইভিং-এর ক্ষেত্রে সে সুবিধা নেই, লুমে অন্ততপক্ষে পনেরোটি শাড়ির সুতো লাগাতে হয়। তাই এই শাড়িগুলি তৈরী হওয়ার ক্ষেত্রেও সর্বনিম্ন পরিমাণ শাড়ির সংখ্যা হিসাব করে লাগানো হয়েছে। কলকাতায় এই শাড়িগুলির প্রদর্শনী আছে জানুয়ারি মাসে। বোম্বেতেও একটি প্রদর্শনী আছে। “প্রতি প্রদর্শনীতে এক্সিবিশন পিস একটি করে থাকবে, বাকি যদি কেউ চান, তাঁরা যদি বলেন, স্টকে থাকলে বিক্রয় করছি… যেহেতু এই কাজের সবে শুরু, তাই একে কাজ হিসেবে বা এক্সপেরিমেন্ট হিসেবেই দেখছি। একটি বুটিকের সঙ্গে কথা চলছে, যদি সেখানে আমার কাজ বা কালেকশন আলাদা ভাবে রাখা যায়। জানি না কী হবে। অতকিছু ভাবিনি, কী করব-না-করব। যাঁরা আমার সঙ্গে কন্ট্যাক্ট করেছেন, সেই শাড়ি যদি আমার কাছে থাকে…” বিক্রির ক্ষেত্রে এভাবেই পরিকল্পনা করেছেন শ্যাম।

আর্ট কলেজের ছাত্র হিসাবে আগেও প্রদর্শনী হয়েছে তাঁর কাজের। মূলত মিক্সড মিডিয়া, টেক্সটাইল মিডিয়া, হ্যান্ড ট্যাপেস্ট্রি পদ্ধতিতে করা তাঁর কাজগুলিতে লক্ষ্য করা যায় প্রকৃতির নানান নকশা, মোটিফ। “নেচারের যেকোনও এলিমেন্টই আমায় টানে। ধরুন পুকুরের ধারে বসে আছি, জল স্বচ্ছ, জলজ উদ্ভিদ যেভাবে লুকিয়ে বেড়ায় জলের নীচে, হয়তো সেটা স্টাডি করলাম—কিভাবে একে ডিজাইনে পরিণত করা যায়। বাটিতে গুলে রাখা রঙ, বা টাই-ডাই পদ্ধতিতে যে টেক্সচার ক্রিয়েট হয়, মনে হয় সেটাকে ডিজাইনে কনভার্ট করি। ধানক্ষেতে শামুক, বা গুগলি যে ড্রেনের ভেতর চলে—সেগুলো খুব ইন্টারেস্টিং লাগে, ড্রয়িং করি, স্টাডি করি…হয়তো এরাই আমার মোটিফ!”

বিস্মৃতি ও দশকের ধুলোবালি ঝেড়ে শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে লেগে থাকা বাঙালি নারীর ব্যক্তিত্ব ও ঐতিহ্যকে কোভিড পরবর্তী আধুনিক-তম সমাজের সামনে নিয়ে আসছেন শিল্পী। ঘরানার ক্রম বিলুপ্তি হয়তো ঠেকানো সম্ভব নয়, তবে শিল্পী শ্যাম বিশ্বাস হয়তো সিন্দুক খুলিয়ে বাঙালি নারীকে একবার স্বপ্ন দেখাতে চান আজকের চারুলতা, জয়া অথবা সর্বজয়াদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.