অন্দরমহলেই হিজাব বোরখা পরে থাকার কারণেই মা মেয়ে শাশুড়ি কে আলাদা করে চেনার উপায় নেই ! ফলে সম্পর্কের বারোটা বেজে যাওয়ার শুরু ঐ হিজাব আর বোরখার কারণেই !
তখনও ফেসবুক আবিস্কার হয়নি ! দুপুর বারোটার প্রচন্ড গরমের ভিড় ট্রেনে একটি মেয়ে কালো শালোয়ারের উপর কালো বোরখা পরে থাকার কারণে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছিল ! আমার জানালার ধারের সিট ছেড়ে দিয়েছিলাম একটাই শর্তে বোরখা খুলতে হবে ! নয়তো আমি আসন ছাড়বনা ! আমি বুঝতে পারছিলাম প্রচন্ড গরমের কারণে মেয়েটি অসুস্থ বোধ করছে ! কিন্তু সাহস পাচ্ছেনা বোরখা খুলতে ! সেদিন আমার সব চাইতে আশ্চর্য লেগেছিল মেয়েটি দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করছিল আর মেয়েটির দাদা সিটে বসে যাচ্ছিল ! মা বোন সাথে থাকলে আমরা হিন্দুরা কিন্তু আসন ছেড়ে দিয়ে তাদের বসতে দিই ! অবস্থা দেখে মেয়েটির দাদা কে বলেছিলাম আমি আমার জানালার ধারের আসন ছেড়ে দিতে পারি একটাই শর্তে আপনার বোনকে বোরখা খুলতে হবে ! আমি সমাজসেবা করার জন্য ট্রেনে ভ্রমণ করছিনা ! আরও কয়েকজন যাত্রি বলার পর মেয়েটির দাদা বাধ্য হয়ে বোনকে বলেন বোরখা খুলতে ! সত্যি বলতে কি আমি অবাক হয়ে গেছিলাম বোরখা খোলার মুহূর্তে মেয়েটি দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করায় ! বোরখা খোলার পর অবাক হয়ে দেখি মেয়েটা কালো রঙের সালোয়ার পরে আছে ! কালো রঙের পোশাক যে গরম এইটাই মাথায় নেই ওদের ! তারপর ব্যাগ থেকে জলের বোতল বের করে মেয়েটির দাদাকে বললাম আপনার বোনকে বলুন চোখে মুখে ঘাড়ে জল দিতে ! আর জল খেতে ! জানলার হাওয়া লেগে কিছুক্ষণ পরেই মেয়েটি সুস্থ হয়েছিল !
আমার এই লেখা পড়ে অনেকের ই ইমানে আঘাত লাগতে পারে ! মন্তব্য টির বিরুদ্ধে জুকুর কাছে রিপোর্ট করতে পারে ! তাদের বলবো প্রচন্ড গরমের মধ্যে কালো রঙের সালোয়ারের উপর কালো বোরখা পরে রোদে দাঁড়িয়ে থেকে প্রমাণ করেন বোরখা পরলে মেয়েরা শারীরিক অসুস্থতা বোধ করেনা ! ????