প্রধান শিক্ষকরা ‘স্টাফ প্যাটার্ন’ করবেন না, বলেছে সঙ্ঘের শিক্ষক সংগঠন

নতুন স্টাফ প্যাটার্ন তৈরি করে অন লাইনে আপলোড করা প্রধান শিক্ষক বা টিচার-ইন-চার্জ (টি এই সি)-এর বিবেচনাধীনে হতে পারে না। দাবি করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন – বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সঙ্ঘ।

শিক্ষক সঙ্ঘের বক্তব্য, স্টাফ প্যাটার্ন তৈরি করা উচিত নির্দিষ্ট নিয়মাবলীর ভিত্তিতে যা জেনারেল অর্ডার-এ উল্লেখ থাকবে। বিদ্যালয় প্রধানের কাজ তাকেই মান্যতা দিয়ে স্টাফ প্যাটার্ন তৈরি করা। নিজের খেয়াল খুশি অনুযায়ী নয়। এক্ষেত্রে কোনো নির্দেশনামা বা জি.ও নেই।

সঙ্ঘের আরও বক্তব্য, বেশ কিছু জেলায় মেমো নম্বর ছাড়াই হেড মাস্টার বা টি আই সি স্টাফ প্যাটার্ন করছে। তার ফলে বদলি হওয়া শিক্ষকরা সঠিক সিনিয়ারিটি পাচ্ছেন না।

প্রশ্ন উঠেছে, পুরোনো স্টাফ প্যাটার্ন বাতিল হয়ে থাকলে তার জি.ও কোথায়? সঙ্ঘ ঘনিষ্ট শিক্ষক সংগঠন দাবি করেছে, উলুবেড়িয়ায় অনলাইনে স্টাফ প্যাটার্ন তৈরির কাজ স্থগিত রাখা রয়েছে।

অনেক পাশ গ্রাজুয়েট টিচার আশংকা প্রকাশ করেছেন, তাদের উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠয়ে দিলে বেতন কমে যাবে। কেউ আবার বলছেন, বেতন না কমলেও ভবিষ্যতে আর বাড়বে না। অনেকে মনে করছেন, জানুয়ারি মাসে ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু হলে তারা বর্ধিত বেতন পাবেন না। বঙ্গীয় শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী সঙ্ঘের মতে শিক্ষা দফতর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

সঙ্ঘের মতে, আমলারাও জানেন এই ভাবে স্টাফ প্যাটার্ন পরিবর্তন করা যায় না। তাই কৌশলে বিদ্যালয় প্রধানকে দিয়ে করিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

সব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং টিচার-ইন-চার্জদের এই কাজ করতে অস্বীকার করা উচিত। বঙ্গীয় শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী সঙ্ঘের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, “প্রধান শিক্ষক বা টিচার ইন চার্জ এই কাজ না করলে সরকার প্রধানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবেন না। কারণ করতেই হবে এমন জি.ও নেই এবং কিভাবে করা হবে সেই বিষয়েও কোনো জি.ও নেই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.