এই ঘটনা এখনও কোন সংবাদ পত্রের শিরোনামে এলো না …
ঘটনাস্থল উত্তর প্রদেশের কৌশম্বি, একজন ১৬ বছরের হিন্দু দলিত মেয়েকে নিষ্ঠুরভাবে গনধর্ষণ করল তিন মুসলমান যুবক। গ্রামবাসীরা একজন অপরাধীকে ধড়তে সক্ষম হলেও বাকি দুইজন গা ঢাকা দেয়। পরে, ধর্ষিতা মেয়েটির পরিবারের সাথে পুলিশের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এনে গ্রামের লোকজন স্থানীয় পুলিশ স্টেশন ঘেরাও করে।
মেয়েটি তার প্রতিবেশী গ্রামে ঘাস কাটতে গিয়েছিল যখন তিনজন মুসলমান যুবক তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় এবং একটি নিরিবিলি জায়গা খুঁজে একের পর এক ধর্ষণ করে। এমনকি তারা এই ঘটনার একটা ভিডিও পর্যন্ত তুলে রাখে এবং সেটিকে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়।
নিউজ সাইট breakingtube.com এর সুত্র অনুসারে, সেই ভয়ানক ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, নির্যাতিতা মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে হাত জড়ো করে বারবার পশু গুলোকে ‘ভাইয়া’ বলে সম্বোধন করছে আর বলছে, ‘মুঝে আপনে আল্লাকে ওয়াস্তে ছড়দো’, আল্লার দোহাই আমাকে তোমরা ছেড়ে দাও। কিন্তু কে কার কথা শোনে। মানুষ হলে তো শুনবে। একজনের পর একজন এলো আর ধর্ষণ করে গেল। তাদের মুখে এক কথা, ধর্ষণ করতে দাও, নতুবা তোমাকে মেরেই ফেলব।
মিডিয়া খবরটা সামনে আনল না, কারন তিন ধর্ষক শান্তির পুজারি, নাম দুই ভাই মহম্মদ বড়া, মহম্মদ ছোটা এবং মহম্মদ নাজিম। মেয়েটির চীৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। নাজিমকে ধড়তে সক্ষম হলেও দুই ভাই সেখান থেকে পালিয়ে যায়। গণধোলাই দেওয়ার পর গ্রামবাসীরা নাজিমকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
গ্রামবাসীদের তরফ থেকে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, নির্যাতিতার বাবা থানায় গেলে পুলিশ তাঁর সাথে দুর্ব্যবহার করে। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এএসআই দীপক গুপ্ত এবং একজন হেড কন্সটেবলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এসএইচও মনিশ পাণ্ডের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে।
পলাতক অপরাধীদের ধড়ার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গঠিত হয়েছে। ডিআইজি রাঙ্গে কেপি সিংহ এবং এডিজি প্রয়াগরাজ সুজিত পাণ্ডে গ্রামে গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করেন।
কিন্তু তবুও একটা জিনিস দেখে অবাক লাগে………
দলিত প্রেমী কোন নেতাকে সোচ্চার হতে দেখবেন না।
দেখবেন না কোন বুদ্ধিজীবীকে এই নিয়ে মুখ খুলতে।
কেউ কবিতা লিখবে না, না কেউ পুরষ্কার ফেরত দেবে।
প্ল্যাকার্ড হাতে কাউকে দাঁড়াতে দেখবেন না, না দেখবেন মোমবাতি হাতে …
নাম, ধর্ম, জাত, পাত, বর্ণ, লিঙ্গ, পুষ্টিগুণ দেখে প্রতিবাদ আর কত দিন?
এই লজ্জা সাংবাদিকার লজ্জা, রাজনীতির লজ্জা। মানবতার লজ্জা। এই লজ্জা রাখি কোথায় ………