ব্রিটিশরা ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে: মোহন ভাগবত

রবিবার কর্নালে ইন্দ্রি-কারনাল রোডে আত্মা মনোহর জৈন আরাধনা মন্দির কমপ্লেক্সে একটি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল উদ্বোধনের পর এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রের উন্নতির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তিনি বলেন যে, ব্রিটিশরা ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।

সরসঙ্ঘচালক জানান‚ ভারতে ব্রিটিশ শাসনের আগে, ভারতের জনসংখ্যার ৭০ থেকে ৮০% মানুষ শিক্ষিত ছিল, এবং কোন বেকারত্ব ছিল না। জাতি ও বর্ণের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য ছিল না কারণ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ব্রিটিশরা এখানে ইংল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োগ করে, এবং দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়। ”

তার মতে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র কর্মসংস্থান নয় বরং জ্ঞানের মাধ্যমও ছিল। শিক্ষা ছিল সস্তা এবং সবার জন্য সহজলভ্য। তাই শিক্ষার যাবতীয় খরচ সমাজই বহন করেছে এবং এই শিক্ষা থেকে বেরিয়ে আসা পণ্ডিত, শিল্পী ও কলাকুশলীরা সারা বিশ্বে স্বীকৃত হয়েছে।

ভাগবত আতম মনোহর মুনি আশ্রমের কাজের প্রশংসা করেন। এই আশ্রমের মধ্যে সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য সুবিধা দেওয়ার জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণ করা রয়েছে।

সরসঙ্ঘচালক বলেছিলেন যে সকলের জন্য স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন কারণ চিকিৎসা এবং শিক্ষা উভয়ই ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে এবং সাধারণ মানুষের জন্য সস্তায় চিকিৎসা ও শিক্ষার সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি বলেন‚ “আমরা শুধু নিজেদের জন্য বাঁচি না। আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে সর্বজন হিতায়-সর্বজন সুখে (সকলের কল্যাণ-সকলের জন্য সুখ)”, তিনি আরও বলেন যে “শুধুমাত্র সমাজকে শক্তিশালী করার মাধ্যমেই মানুষ দেখতে পারে যে দেশে ভালো কিছু ঘটছে।……আমরা যদি সুখী হতে চাই, তাহলে সমাজকে সুখী করতে হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.