করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানালেন হু প্রধান। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে অন্য দেশকে সমর্থন করার জন্য ভারতের একটানা লড়াইকে ধন্যবাদ জানালেন হু প্রধান। দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক প্রতিবেশী দেশকে ভ্যাকসিন দিয়েছে ভারত। মরোক্কো ও ব্রাজিলকেও পাঠানো হয়েছে ভ্যাকসিন । দক্ষিণ আফ্রিকাও খুব শীঘ্রই ভ্যাকসিন পেতে চলেছে।
টুইটে হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসাস লিখেছেন, “কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সারা বিশ্বকে সমর্থন করার জন্য ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ। একমাত্র আমরা যদি একসঙ্গে থাকি, এবিষয়ে জ্ঞান শেয়ার করি তবেই এই ভাইরাসকে আমরা থামাতে পারব এবং জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে পারব।”
ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি জেইর বলসোনেরোর টুইটের পরেই হু প্রধান এই টুইট করেন। শনিবার ব্রাজিলে পৌঁছয় ভারতের পাঠানো ভ্যাকসিন। তারপরেই ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়ে ট্যুইট করেছেন ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট।
বলসোনারো এদিন হনুমানের ছবি প্রকাশ করে নিজের ট্যুইট বার্তা দেন। তিনি লেখেন ব্রাজিল সম্মানিত বোধ করছে ভারতের সাহায্য পেয়ে। করোনা ভ্যাকসিন পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ। শনিবার বলসোনারোর ট্যুইট বার্তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান এটা ভারতের কাছে সম্মানের। করোনা যুদ্ধে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়েছে ব্রাজিল। সেই যুদ্ধে সামিল গোটা বিশ্ব। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পারস্পরিক ভরসা ও বন্ধুত্বের শক্ত মাটিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত ও ব্রাজিল। আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।
প্রসঙ্গত ব্রাজিল প্রথমে চিনের তৈরি ভ্যাকসিন নিয়েছিল। তবে ব্রাজিলে এই ভ্যাকসিন তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। এরপরেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি করে ব্রাজিল।
দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরবেও খুব শীঘ্রই এই ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক সরবরাহ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মায়ানমার ও বাংলাদেশ উভয় দেশই ভারত থেকে ৩০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার চুক্তি করেছে। ১২ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন চেয়েছে নেপালও। ১৫ লক্ষ কোভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫০ লক্ষ কোভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে ব্রাজিল।
এছাড়া থাইল্যান্ড, সিসিলি, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, মরিশাস সহ আরও অনেক দেশ ভারতের কাছ থেকে এই ভ্যাকসিন বাণিজ্যিক ভাবে কিনতে চেয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপানও এই ভ্যাকসিন কেনার ব্যাপারে ভারতের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।