দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হলেন ৮২ হাজার ১৭০ জন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০৩৯ জনের।
নতুন করে সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭০৩ জন। এরমধ্যে অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৯ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৪০। সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। দেশজুড়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯৫ হাজার ৫৪২ জনের।
অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, শের মাত্র ১০টি রাজ্যে ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে মোটা করোনা আক্রান্তের ৭৫ শতাংশ রোগী। বাকি ২৫ শতাংশ ছড়িয়ে দেশের বাকি রাজ্যে। শনিবার এক বুলেটিনে এই তথ্য দেয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
যে ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত করোনা রোগীর ৭৫ শতাংশ ছড়িয়ে রয়েছে, সেগুলি হল অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, কেরল, ওডিশা, তামিল নাড়ু, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ। মহারাষ্ট্র সবথেকে বেশি করোনা সংক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত।
দেশের মধ্যে এখনও করোনা সংক্রমণের শীর্ষে থাকা রাজ্য মহারাষ্ট্র। এরই মধ্যে মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
বর্তমানে ভ্যাকসিনের দিকে চাতকের মতো চেয়ে আছে সাধারণ মানুষ। এরই মধ্যে ‘দ্য হিন্দু’ উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকের বরাত দিয়ে জানাচ্ছে, যে বা যাঁরা করোনার ভ্যাকসিন কেনার ক্ষমতা রাখেন না, তাঁদের কেন্দ্র বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন দেবে।
জানা গিয়েছে, এক একটি ভ্যাকসিনের দাম পড়বে ২-৩ ডলার বা ১৪০ থেকে ২১০টাকার মধ্যে। সেই অর্থ দিয়ে যারা ভ্যাকসিন কিনতে সক্ষম নন, তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সরকারি সূত্র জানাচ্ছে ১৩০ কোটির জনসংখ্যার দেশে ভ্যাকসিনেশনের জন্য প্রচুর অর্থ প্রয়োজন। অনেকেই তা কিনে উঠতে পারবেন না। তাঁদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে সরকার।