দেশে ফের কিছুটা বাড়ল করোনা সংক্রমণ। শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হলেন আরও ৬৭ হাজার ৭০৮ জন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৮০ জনের।
নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে দেশে এখন অবধি মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ লক্ষ ৭ হাজার ৯৮ জন। এরমধ্যে অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লক্ষ ১২ হাজার ৩৯০ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৩ লক্ষ ৮৩ হাজারের বেশি মানুষ ও দেশজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ১১ হাজার ২৬৬ জনের।
অন্যদিকে সামনে আগত শীতকাল নিয়ে ব্যাপক আতঙ্কিত রয়েছে সাধারণ মানুষ। শীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়তে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফুগাকু নামে একটি সুপার কম্পিউটার দেখিয়েছে বাতাসে আদ্রতা যদি ৬০ শতাংশের তুলনায় ৩০ শতাংশ হয়ে যায়, তবে ভাইরাসের উপস্থিতি দ্বিগুণ হতে পারে।ফলে বাড়ছে চিন্তা।
অন্যদিকে অপর চিন্তা হল, করোনার জেরে কোনও ব্যক্তি চিরকালের জন্য শ্রবণ শক্তি হারাতে পারে। ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা উচিৎ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনার জেরে শারীরিক দুর্বলতা থেকে শুরু করে গন্ধহীনতা সহ নানান উপসর্গ দেখা দিতে পারে। করোনা শরীরের নানান অঙ্গকে ড্যামেজ করতে সক্ষম।
তবে আশার খবর শুনিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। আগামী বছরের শুরুতেই নোভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেশের বাজারে এসে যাবে বলে মনে করেন তিনি। ইতিমধ্যেই আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বের প্রথম সারির একাধিক দেশ করোনার ভ্যাকসিন বানাচ্ছে।
করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে ভারতেও। ভারত বায়োটেক, জাইডাস ক্যাডিলা-সহ বেশ কয়েকটি সংস্থা করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করছে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ভারতে তৈরি করছে পুণের সিরাম ইন্সটিটিউট। নতুন বছরের শুরুতেই দেশে করোনার ভ্যাকসিন বেরিয়ে যাবে বলে আশাবাদী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।