দেশে ফের রেকর্ডব্রেক করোনার। একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখছে দেশ। শেষ ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হলেন ৯০ হাজার ৬৩৩ জন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০৬৫ জনের।
আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে দেশজুড়ে মোট সংক্রমণ দাঁড়াল ৪১ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৬৬ জন। এরমধ্যে অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৮ লক্ষ ৬২ হাজার ৩২০। দেশজুড়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৩১ লক্ষ ৮০ হাজার ৮৬৬ জন। এখন পর্যন্ত সারা দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৭০ হাজার ৬২৬ জনের।
দেশের মধ্যে লাগামছাড়া সংক্রমণে ত্রস্ত মহারাষ্ট্র। শুরু থেকেই দেশের অন্য রাজ্যগুলির নিরিখে মহারাষ্ট্রেই করোনার সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়ায়। করোনা মোকাবিলায় একটানা লকডাউনেও সংক্রমণে লাগাম পরানো যায়নি। প্রতিদিন লাফিয়ে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যু।
মহারাষ্ট্রের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। রোগীর চাপে হাসপাতালগুলিতে স্থান সঙ্কুলান তৈরি হচ্ছে। একটি বেডের গা ঘেঁষে অন্য বেড পাততে বাধ্য হচ্ছে বহু হাসপাতাল। নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে।
অন্যদিকে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্নাটকেও। এই রাজ্যগুলিতেও করোনার সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে ও করোনায় মৃত্যুহার রুখতে আরও বেশি কোভিড টেস্টে জোর দিতে পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের।
একদিকে দ্রুত করোনা পরীক্ষা ও আক্রান্তের চিকিৎসার ব্যবস্থার পাশাপাশি সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও দ্রুত খুঁজে বের করতে বিশেষ ব্যবস্থা করে রাখার পরামর্শ কেন্দ্রের। পরপর বেশ কয়েকটি স্তরে সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণের মাধযমেই মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।