বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে মোদী সরকার: জানুন কতটা উপকৃত হবেন

ধাক্কা খেয়েছে দেশের অর্থনীতি।রিজার্ভ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন সহ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন নোটবন্দীর বিরুদ্ধে মতামত। এছাড়াও সদ্য দুই রাজ্যতে হওয়া নির্বাচনে আশানিরূপ ফল হয়নি৷ তারই মাঝে শেয়ারবাজারকে চাঙ্গা করতে নতুন পদক্ষেপ নিতে পারেন মোদী।

সেক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী লাভ (এলটিসিজি), স্বল্পমেয়াদি মূলধনী লাভ( এসটিসিজি) এবং ডিভিডেন্ড ডিস্ট্রিবিউশন ট্যাক্স (ডিডিটি) এবং সিকিউরিটি ট্রান্সকশন ট্যাক্স (এসটিটি) এর ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনার ব্যাপারে বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।আর এর ফলে শেয়ারবাজার চাঙ্গা হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করছেন অনেকেই। আর এই নিয়ে অর্থমন্ত্রক এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে।

২০১৮ সালে বাজেটে প্রায় এক দশক পরে এক লক্ষ টাকার বেশি দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী লাভের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ হারে কর চাপে ৷ এবার পর্যালোচনা করা হচ্ছে এই কর তুলে দেওয়া যায় কিনা ৷ স্বল্পমেয়াদি মূলধনী লাভের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে কর কর চাপানো হয়েছে যদি শেয়ারের ক্ষেত্রে এক বছরের কম সময়ে তা থাকে৷

এই ক্ষেত্রে মূলধনী সম্পদ হিসেবে ধরা হবে নথিভুক্ত শেয়ার , এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড এবং ইক্যুইটি সংক্রান্ত মিউচুয়াল ফান্ড৷ অন্যদিকে এসটিটি চার্জ করা হয় শেয়ার ইত্যাদিতে কেনা বেচার সময়৷ বাজার চাইছে এই কর কমানো অথবা তুলে দেওয়া হোক৷ যদিও সরকারে কাছে অর্থ আনার একটি উৎস এবং শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে টাকার উৎস জানান ব্যাপারে সহায়তা করে৷ ২০০৪ সালে মূলধনী লাভ তুলে দিয়ে এই কর চাপানো হয়েছিল৷

দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য গত কয়েক মাসে একাধিক রাস্তা নিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য কর্পোরেট কর কমানোর কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। কিন্তু তারপরেও সেভাবে হাল ফেরেনি। তবে বাজারে বিনিয়োগের জন্য এই পদক্ষেপ বলে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

আর অর্থনীতির খারাপ হাল ক্রমেই বিরোধীদের হাত শক্ত করেছিল। এছাড়াও গত কয়েক মাসে ভারতের অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিল বিশ্বব্যাঙ্ক । এছাড়াও ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন কারখানার উপর খারাপ প্রভাব এবং কারখানাবন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ভাঁজ পড়েছিল অর্থ দফতরের কপালেও। তা সত্ত্বেও চেষ্টা করে গিয়েছিল মোদী সরকার। আর এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের ধুঁকতে থাকা সংস্থাগুলি একটু চাঙ্গা হবে বলে মনে করছেন অনেকে।

প্রধানমন্ত্রীও বিভিন্ন দেশে গিয়ে বিভিন্ন সামিটে যোগদান করে ভারত বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে যে একটি অত্যন্ত সুবিধাজনক জায়গা তা বারবার বলেছেন। বিভিন্ন দেশের শিল্পপতিদের ভারতে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে আমন্ত্রন জানিয়েছেন। তার সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করেছেন অর্থমন্ত্রী সীতারমন। আর এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো নতুন ভাবে চাঙ্গা হবে বলে আশা করছেন বিজেপি শিবির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.